ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় পথচারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেফতার “আবেশ” এর উদ্যোগে দিনব্যাপী “গেট টুগেদার এন্ড পিকনিক ২০২৫অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছেলের হাতে মা খুন অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমিন এসোসিয়েশনের জরুরি সভায় সার্ভেয়ার এমরানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আশুগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন সদর হাসপাতালে রোগীদের কম্বল দিলেন ওসি মোজাফ্ফর

সরাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছোঁড়া দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিত ছাত্রী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। মামলার এজাহার, মামলার বাদী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর মা ও বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামা রহিম মিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রী যথারীথি বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীন ভাবে মুষলধারে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক মুহিদ মিয়া কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। স্যারের কথামত সরল বিশ্বাসে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কাজ শুরু করে ছাত্রীটি। এক সময় বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া কেউ নেই। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন শিক্ষক। বাহিরে বৃষ্টির তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিদ মিয়া দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রীকে একটি ছোঁড়া দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানুর কাছে সবকিছু খুলে বলে। ছাত্রীর মামা রহিম মিয়া ধর্ষিতাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষিতা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার সাথে কথা বলতে ০১৯১৭১০৬১২৬/০১৭২১৭৪৫২৪৬ এই ২টি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেব। সরাইল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো.আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামি কে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অতি শীঘ্রই আসামি ধরতে সক্ষম হব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছোঁড়া দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিত ছাত্রী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। মামলার এজাহার, মামলার বাদী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর মা ও বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামা রহিম মিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রী যথারীথি বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীন ভাবে মুষলধারে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক মুহিদ মিয়া কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। স্যারের কথামত সরল বিশ্বাসে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কাজ শুরু করে ছাত্রীটি। এক সময় বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া কেউ নেই। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন শিক্ষক। বাহিরে বৃষ্টির তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিদ মিয়া দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রীকে একটি ছোঁড়া দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানুর কাছে সবকিছু খুলে বলে। ছাত্রীর মামা রহিম মিয়া ধর্ষিতাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষিতা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার সাথে কথা বলতে ০১৯১৭১০৬১২৬/০১৭২১৭৪৫২৪৬ এই ২টি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেব। সরাইল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো.আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামি কে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অতি শীঘ্রই আসামি ধরতে সক্ষম হব।