Dhaka ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সরাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ২১২ Time View

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছোঁড়া দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিত ছাত্রী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। মামলার এজাহার, মামলার বাদী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর মা ও বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামা রহিম মিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রী যথারীথি বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীন ভাবে মুষলধারে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক মুহিদ মিয়া কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। স্যারের কথামত সরল বিশ্বাসে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কাজ শুরু করে ছাত্রীটি। এক সময় বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া কেউ নেই। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন শিক্ষক। বাহিরে বৃষ্টির তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিদ মিয়া দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রীকে একটি ছোঁড়া দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানুর কাছে সবকিছু খুলে বলে। ছাত্রীর মামা রহিম মিয়া ধর্ষিতাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষিতা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার সাথে কথা বলতে ০১৯১৭১০৬১২৬/০১৭২১৭৪৫২৪৬ এই ২টি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেব। সরাইল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো.আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামি কে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অতি শীঘ্রই আসামি ধরতে সক্ষম হব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য।

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

Update Time : ১০:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছোঁড়া দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিত ছাত্রী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। মামলার এজাহার, মামলার বাদী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর মা ও বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামা রহিম মিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রী যথারীথি বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীন ভাবে মুষলধারে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক মুহিদ মিয়া কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। স্যারের কথামত সরল বিশ্বাসে বিদ্যালয়ে ঝারু দেওয়ার কাজ শুরু করে ছাত্রীটি। এক সময় বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া কেউ নেই। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন শিক্ষক। বাহিরে বৃষ্টির তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তখন শিক্ষক মুহিদ মিয়া দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রীকে একটি ছোঁড়া দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানুর কাছে সবকিছু খুলে বলে। ছাত্রীর মামা রহিম মিয়া ধর্ষিতাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষিতা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার সাথে কথা বলতে ০১৯১৭১০৬১২৬/০১৭২১৭৪৫২৪৬ এই ২টি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেব। সরাইল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো.আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আসামি কে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অতি শীঘ্রই আসামি ধরতে সক্ষম হব।