মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের (সরাইল-আশুগঞ্জ) ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। আজ রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন কারণে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর বৈধ ঘোষণা করেছেন ৮ প্রার্থীর মনোনয়ন। মোট ভোটারের শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকাসহ বিভিন্ন এুটির কারণে বাতিল হয়েছে অধিকাংশ মনোনয়নপত্র। তবে আপিল করে দ্রূত সংশোধন করে নিবেন বলে জানিয়েছেন মো. আশরাফ উদ্দিনসহ একাধিক প্রার্থী। সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষিত সময় সূচি অনুসারে গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদের ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক, সহকারী জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উপসি’ত ছিলেন। উপসি’ত ছিলেন অনেক প্রার্থী ও তাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীরা। সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে হলে ভোটার এলাকার মোট ভোটারের শতকরা ১ ভাগ হিসাব করে ওই সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত কাগজ মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। বিভিন্ন ধরণের এুটি থাকায় যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- শাহ মফিজ, মো. আশরাফ উদ্দিন, আ: রাজ্জাক হোসেন, এম.এ রজিম ও গত ৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন মোহন মিয়া মৈশান ওরফে মোহন পাগলা। অবশিষ্ট ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। বৈধ প্রার্থীরা হলেন-বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মহাজোট থেকে এই আসনে পরপর দুইবার নির্বাচিত এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত (লাঙ্গল) মো. আব্দুল হামিদ, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্টের সদস্য সচিব ও সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস’ার সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্যবসায়ি আবু আসিফ আহমেদ ও জহিরূল ইসলাম জুয়েল। তবে আশরাফ উদ্দিন মন’ বলেন, একটি ভোটার নম্বরের ভুলের কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। এটা কোন জটিল বিষয় নয়। আপিল করে সংশোধন করে নিব। আমি নির্বাচনী মাঠে কাজ করছি। নির্বাচন করব। এই ৮ জনের মধ্যে যে কেউ ইচ্ছা করলে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন। আর ১৬ জানুয়ারি প্রার্থীদেরকে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করে করেন, বিভিন্ন ধরণের এুটি থাকায় একাধিক মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। প্রসঙ্গত: গত ১১ ডিসেম্বর এই আসনের বিএনপি দলীয় এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শুন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রূয়ারি এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।