ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহবাজপুরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহাউৎসব চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আলামিনকে সিটিএল’এর অনুদান শুভসংঘের আয়োজন সবজি দেখে শিক্ষার্থীরা লিখলো খাতায় বাঁচার আকুতি বিরল রোগে আক্রান্ত আলামিনের’ বিজয়নগরে ভোরের দর্পণ পত্রিকার বর্ষপূর্তি উদযাপন সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৮ বোতল বিদেশী মদসহ ১ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ২ মাসে ৩১ ট্রান্সফরমার চুরি

আশুগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: স্বামী সন্তানের পর মারা গেলেন দগ্ধ রেখা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু জুবায়ের, তার বাবা মকবুল, বড় ছেলে জয় ও স্ত্রী রেখার গর্ভে থাকা সন্তানের পর এবার মৃত্যুর কাছে হার মানল অগ্নিদগ্ধ রেখাও। অগ্নিদগ্ধ রেখা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১১টার দিকে মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল পাঁচে। অর্থাৎ অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুরো পরিবারটিই মারা গেছে। মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সকালে রেখার চাচাশ্বশুর শরীফ হোসেন মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর রাতেই মকবুলের ছোট ছেলে জুবায়ের মারা যায়। পরে ওই রাতেই মকবুল হোসেন ও তার পরিবারের আরও দুই সদস্যকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে মকবুল হোসেন মারা যান। এরপর রোববার সকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুলের বড় ছেলে জয়ের মৃত্যু হয়। এর আগে মকবুলের স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানও মৃত্যুবরণ করেন। পরে অপারেশন করে সেই সন্তানকে বের করা হয়। শেষমেষ সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুলের পরিবারের বেঁচে থাকা শেষ সদস্য তার স্ত্রী রেখাও মৃত্যুবরণ করেন।জানা যায়, ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা সদরের শরীয়তনগর এলাকায় একটি বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত মকবুল হোসেনের ছেলে জুবায়ের (৬) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রেখা বেগম (৩২) এবং তাদের আরেক ছেলে জয় (১২) ও ভবনের বাসিন্দা জামিয়া রহমানসহ ১০ দগ্ধ হন। তারা মুমুর্ষূ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশ জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। সিলিন্ডারের সুইচ দেওয়ার অনেক পর দেয়াশলাই জ্বালানোয় আগুন ধরে বিস্ফোরণ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আশুগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: স্বামী সন্তানের পর মারা গেলেন দগ্ধ রেখা

আপডেট সময় : ০৩:০০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু জুবায়ের, তার বাবা মকবুল, বড় ছেলে জয় ও স্ত্রী রেখার গর্ভে থাকা সন্তানের পর এবার মৃত্যুর কাছে হার মানল অগ্নিদগ্ধ রেখাও। অগ্নিদগ্ধ রেখা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১১টার দিকে মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল পাঁচে। অর্থাৎ অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুরো পরিবারটিই মারা গেছে। মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সকালে রেখার চাচাশ্বশুর শরীফ হোসেন মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর রাতেই মকবুলের ছোট ছেলে জুবায়ের মারা যায়। পরে ওই রাতেই মকবুল হোসেন ও তার পরিবারের আরও দুই সদস্যকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে মকবুল হোসেন মারা যান। এরপর রোববার সকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুলের বড় ছেলে জয়ের মৃত্যু হয়। এর আগে মকবুলের স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানও মৃত্যুবরণ করেন। পরে অপারেশন করে সেই সন্তানকে বের করা হয়। শেষমেষ সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুলের পরিবারের বেঁচে থাকা শেষ সদস্য তার স্ত্রী রেখাও মৃত্যুবরণ করেন।জানা যায়, ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা সদরের শরীয়তনগর এলাকায় একটি বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত মকবুল হোসেনের ছেলে জুবায়ের (৬) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রেখা বেগম (৩২) এবং তাদের আরেক ছেলে জয় (১২) ও ভবনের বাসিন্দা জামিয়া রহমানসহ ১০ দগ্ধ হন। তারা মুমুর্ষূ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশ জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। সিলিন্ডারের সুইচ দেওয়ার অনেক পর দেয়াশলাই জ্বালানোয় আগুন ধরে বিস্ফোরণ হয়।