Dhaka ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ সরাইলে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা সরাইলে ২৩ রোগী পেল ১৮৪০০০ টাকা বাবার সেই চিঠি শুধুই মনে —–আল আমীন শাহীন জমে ওঠেছে সরাইলের ঈদ বাজার‘আলিয়া’ নিয়ে টানাটানি সরাইলে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ কারবারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়ি়য়া জেলা কাজী সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সরাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • ১১৩ Time View

সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাঁটু পানি। গত ১০-১৫ দিন ধরে প্রকল্পের বাসিন্ধারা পানির উপরে কষ্ট করে বসবাস করলেও কোন ধরণের ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া সেখান থেকে বাজারে বা অন্য কোথাও যেতে হলে নৌকা ছাড়া অসম্ভব। তাই চরম কষ্টে বসবাসের কথা জানিয়েছেন রমজান মিয়া ও তোবারক মিয়া। স্থানীয় লোকজন ও কয়েকজন সমাজকর্মী জানায়, আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের হাওরে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১০টি পরিবারকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ঘর। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৫-২০ দিন আগেই তলিয়ে গেছে হাওর ও যাতায়তের কাঁচা সড়ক। চারিদিকে পানি আর মাঝখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধারা। গত ১০-১৫ দিন আগে ওই প্রকল্পের আঙ্গিনা তলিয়ে যায়। এরপর পানি প্রবেশ করে ঘরের ভেতরে। কোন রকমে ঘরের ভেতরে বসবাস করছেন তারা। ১০টি পরিবারের মধ্যে আছে ৬টি পরিবার। প্রকল্পের শুরূ থেকেই নেই ৪টি পরিবার। বসতঘর থেকে বের হলেই গলা সমান পানি। আবার কোথাও সাঁতার পানি। কোথাও কাজ করতে ও হাটবাজার করতে গেলে নৌকা ছাড়া কোন উপায় নেই তাদের। জীবন-যাপনে খরচ বেড়ে গেছে। ওদিকে বন্যার কারণে কমে গেছে কাজ। এ জন্য ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধাদের জীবন এখন খুবই কষ্টের। প্রকল্পের বাসিন্ধা মো. কুতুব মিয়া (৫৭) স্ত্রীকে নিয়ে পানির উপরই সেখানে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমডার বাড়ি নোয়াগাঁও। ৬ পরিবার খুব কষ্ট কইরা অতদিন ধইরা এইহান থাকতাছি। খাওনেরও কষ্ট। চেয়ারম্যান আর ফতেহ আলী মেম্বার একদিন আইছিল। আর আমডার কোন খুঁজ খবর নিতাছে না। অত দিন অইল এইহানে কেউই রিলিফ বা কোন খাওন লইয়া আইছে না। অহন আমডা সাইয়রে ভাসতাছি। পুবের দুই ঘরের মানুষ অনেক আগে অই গেছেগা। কাঁচা আবুইদ্দা লইয়া হেরা থাকত পারে না। আবুইদ্দা পানিত পইড়া যাগা। আরেক বাসিন্ধা তাবারক মিয়া (৪২) বলেন, আমডার বাড়ি জয়ধরকান্দি। ২ বছর আগ থাইক্কা ওই এইহান থাকতাছি। কাপড় ভিজাইয়া যাওয়া আসা করতাছি। উদ্বোধন করার পর থাইক্কা এইহান ৪ টা পরিবার থাকে না। ৬ নং ওয়ার্ডের বুড্ডা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ টি ঘরেও প্রবেশ করেছে পানি। নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আইরলে ১০টি ও বুড্ডায় ৩ টি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আইরলে কিছু মাটি ফেলা হয়েছিল। তাপরও জায়গাটি নিচু। আর বুড্ডায় কোন মাটি ফেলা হয়নি। আজ পর্যন্ত (গতকাল ২৮ মে মঙ্গলবার) তারা কোন ত্রাণ পায়নি। তবে গতকাল বিকেলে কিছু ত্রাণ পেয়েছি। আগামীকাল দিব। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ৩৮টি। ত্রাণ পেয়েছি ৩০টি। আজ বুধবার ত্রাণ বিতরণ করব। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত টেগ অফিসার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আইরলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরেই পানি। আমার জানা মতে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে কোন ধরণের ত্রাণ যায়নি।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

সরাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ

Update Time : ০৫:০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাঁটু পানি। গত ১০-১৫ দিন ধরে প্রকল্পের বাসিন্ধারা পানির উপরে কষ্ট করে বসবাস করলেও কোন ধরণের ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া সেখান থেকে বাজারে বা অন্য কোথাও যেতে হলে নৌকা ছাড়া অসম্ভব। তাই চরম কষ্টে বসবাসের কথা জানিয়েছেন রমজান মিয়া ও তোবারক মিয়া। স্থানীয় লোকজন ও কয়েকজন সমাজকর্মী জানায়, আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের হাওরে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১০টি পরিবারকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ঘর। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৫-২০ দিন আগেই তলিয়ে গেছে হাওর ও যাতায়তের কাঁচা সড়ক। চারিদিকে পানি আর মাঝখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধারা। গত ১০-১৫ দিন আগে ওই প্রকল্পের আঙ্গিনা তলিয়ে যায়। এরপর পানি প্রবেশ করে ঘরের ভেতরে। কোন রকমে ঘরের ভেতরে বসবাস করছেন তারা। ১০টি পরিবারের মধ্যে আছে ৬টি পরিবার। প্রকল্পের শুরূ থেকেই নেই ৪টি পরিবার। বসতঘর থেকে বের হলেই গলা সমান পানি। আবার কোথাও সাঁতার পানি। কোথাও কাজ করতে ও হাটবাজার করতে গেলে নৌকা ছাড়া কোন উপায় নেই তাদের। জীবন-যাপনে খরচ বেড়ে গেছে। ওদিকে বন্যার কারণে কমে গেছে কাজ। এ জন্য ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধাদের জীবন এখন খুবই কষ্টের। প্রকল্পের বাসিন্ধা মো. কুতুব মিয়া (৫৭) স্ত্রীকে নিয়ে পানির উপরই সেখানে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমডার বাড়ি নোয়াগাঁও। ৬ পরিবার খুব কষ্ট কইরা অতদিন ধইরা এইহান থাকতাছি। খাওনেরও কষ্ট। চেয়ারম্যান আর ফতেহ আলী মেম্বার একদিন আইছিল। আর আমডার কোন খুঁজ খবর নিতাছে না। অত দিন অইল এইহানে কেউই রিলিফ বা কোন খাওন লইয়া আইছে না। অহন আমডা সাইয়রে ভাসতাছি। পুবের দুই ঘরের মানুষ অনেক আগে অই গেছেগা। কাঁচা আবুইদ্দা লইয়া হেরা থাকত পারে না। আবুইদ্দা পানিত পইড়া যাগা। আরেক বাসিন্ধা তাবারক মিয়া (৪২) বলেন, আমডার বাড়ি জয়ধরকান্দি। ২ বছর আগ থাইক্কা ওই এইহান থাকতাছি। কাপড় ভিজাইয়া যাওয়া আসা করতাছি। উদ্বোধন করার পর থাইক্কা এইহান ৪ টা পরিবার থাকে না। ৬ নং ওয়ার্ডের বুড্ডা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ টি ঘরেও প্রবেশ করেছে পানি। নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আইরলে ১০টি ও বুড্ডায় ৩ টি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আইরলে কিছু মাটি ফেলা হয়েছিল। তাপরও জায়গাটি নিচু। আর বুড্ডায় কোন মাটি ফেলা হয়নি। আজ পর্যন্ত (গতকাল ২৮ মে মঙ্গলবার) তারা কোন ত্রাণ পায়নি। তবে গতকাল বিকেলে কিছু ত্রাণ পেয়েছি। আগামীকাল দিব। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ৩৮টি। ত্রাণ পেয়েছি ৩০টি। আজ বুধবার ত্রাণ বিতরণ করব। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত টেগ অফিসার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আইরলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরেই পানি। আমার জানা মতে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে কোন ধরণের ত্রাণ যায়নি।

মাহবুব খান বাবুল