Dhaka 6:34 am, Sunday, 5 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

‘এই আসনে আমিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী’- রেজাউল ইসলাম

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:18:22 pm, Thursday, 4 January 2024
  • 32 Time View

'এই আসনে আমিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী'- রেজাউল ইসলাম

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসনে ( সরাইল- আশুগঞ্জ) নিজেকে মহাজোটের প্রার্থী দাবী করে জাপা’র প্রার্থী এডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, এই আসনে আমিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী। জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ২০০৮ সাল থেকে জোটের রাজনীতি শুরু হয়েছে। তখন এই আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন কামাল আহমেদ। জোটের স্বার্থে তখন কামাল আহমেদকে বসিয়ে এখানে জাপা’র ( লাঙ্গল) প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন মহাজোট নেত্রী। আপনারা সকলে মিলে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন। ২০১৪ সালেও আবার লাঙ্গলকে দেয়া হয়েছিল এই আসনটি। এরই ধারা বাহিকতায় ২০২৪ সালেও আবার জোট নেত্রী সমঝোতার ভিত্তিতে সারা দেশে জাপাকে ২৬ টি আসন ছেড়ে দিয়েছেন।

এর মধ্যে এই আসনটি একটি। বিষয়টি আ’লীগ নেত্রীর স্বাক্ষরে প্রত্যেক রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন। আর তাই সদ্য পাস করা আ’লীগ দলীয় এমপি অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু আওয়ামীগ নেত্রীর নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশের পর আর কী বাকি থাকে? জাপা’র ২৬ টি আসনের মধ্যে এটিও তো একটি। এখানে ভুয়া গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশকে অমান্য করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে রওশন এরশাদ নাকি মনোনয়ন দিয়েছেন। রওশন এরশাদ দলের প্রধান পৃষ্টপোষক। তিনি শাররীক অসুস্থ্যতার জন্য নির্বাচন করেননি। উনার ছেলেও মনোনয়ন জমা দেননি। দলের বহিস্কৃত কিছু লোক আছে। যাদের দলে প্রাথমিক সদস্য পদই নেই। তাদের নিয়ে কোন বলাও ঠিক না। আমি জেলা উপজেলার রাজনীতির ক্ষোভের শিকার হয়েছি। আমার সাথে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা কর্মীদের ব্যাপক সাড়া আছে। আপনারা যদি উন্নয়ন চান মহাজোটের প্রার্থীকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিবেন।

কারণ এখানে ১০ বছর মহাজোটের এমপি ছিলেন। সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। পরবর্তীতে একজন ভদ্র লোক এমপি হয়েছিলেন। সরকারের সাথে সুসম্পর্ক না থাকায় তিনি কোন কাজই করতে পারেননি। আপনাদের অবশ্যই মনে আছে এই দেশের যোগাযোগ খাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরে এরশাদ সরকার বা জাতীয় পার্টির আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, পথকলি ট্রাস্ট, গুচ্ছ গ্রাম, সেনা সদস্যদের শান্তি মিশনে প্রেরণ, গার্মেন্টস শিল্পকে অগ্রসর করে ঔষধ শিল্পের মান উন্নয়ন জাতীয় পার্টি বা পল্লী বন্ধু এরশাদেরই অবদান। তাই আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারি মহাজোটের প্রার্থী আমি রেজাউল ইসলামকে লাঙ্গল মার্কায় দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ দিন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। উপজেলা জাপা নেতা মজিদ বক্স ও জাতীয় যুবসংহতি নেতা বিল্লাল মিয়ার সঞ্চালনায় ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জাপা’র আহবায়ক এমদাদুল হক ছালেক। বক্তব্য রাখেন- জেলা জাপার সদস্য সচিব মো. নাছির খান, যুগ্ম আহবায়ক মো. রহমত হোসেন, শেখ মো. ইয়াছিন, সিনিয়র যুগ্ম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলমগির মিয়া, উপজেলা জাপা’র যুগ্ম আহবাযক মো. সরাফত আলী, মো. ইউসুফ মিয়া, কাজল মিয়া ও সাবেক যুবলীগ নেতা কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী। আহবায়ক এমদাদুল হক ছালেক সমাপনী বক্তব্যে বলেন, হুমায়ুন মিয়া ও মুফতি আমিনী তো বহিরাগত ছিলেন। তারা তো এই এলাকার মানুষের ভোটে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। তাহলে তারা কী কুলাঙ্গার ছিলেন?
প্রসঙ্গত: রেজাউল ইসলাম সভায় নিজেকে শেখ হাসিনার নির্দেশিত মনোনিত মহাজোটের প্রার্থী দাবী করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা অঙ্গসংঠনের কোন নেতাকে উপস্থিত করতে পারেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

‘এই আসনে আমিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী’- রেজাউল ইসলাম

Update Time : 09:18:22 pm, Thursday, 4 January 2024

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসনে ( সরাইল- আশুগঞ্জ) নিজেকে মহাজোটের প্রার্থী দাবী করে জাপা’র প্রার্থী এডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, এই আসনে আমিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একমাত্র প্রার্থী। জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ২০০৮ সাল থেকে জোটের রাজনীতি শুরু হয়েছে। তখন এই আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন কামাল আহমেদ। জোটের স্বার্থে তখন কামাল আহমেদকে বসিয়ে এখানে জাপা’র ( লাঙ্গল) প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন মহাজোট নেত্রী। আপনারা সকলে মিলে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন। ২০১৪ সালেও আবার লাঙ্গলকে দেয়া হয়েছিল এই আসনটি। এরই ধারা বাহিকতায় ২০২৪ সালেও আবার জোট নেত্রী সমঝোতার ভিত্তিতে সারা দেশে জাপাকে ২৬ টি আসন ছেড়ে দিয়েছেন।

এর মধ্যে এই আসনটি একটি। বিষয়টি আ’লীগ নেত্রীর স্বাক্ষরে প্রত্যেক রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন। আর তাই সদ্য পাস করা আ’লীগ দলীয় এমপি অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু আওয়ামীগ নেত্রীর নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশের পর আর কী বাকি থাকে? জাপা’র ২৬ টি আসনের মধ্যে এটিও তো একটি। এখানে ভুয়া গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশকে অমান্য করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে রওশন এরশাদ নাকি মনোনয়ন দিয়েছেন। রওশন এরশাদ দলের প্রধান পৃষ্টপোষক। তিনি শাররীক অসুস্থ্যতার জন্য নির্বাচন করেননি। উনার ছেলেও মনোনয়ন জমা দেননি। দলের বহিস্কৃত কিছু লোক আছে। যাদের দলে প্রাথমিক সদস্য পদই নেই। তাদের নিয়ে কোন বলাও ঠিক না। আমি জেলা উপজেলার রাজনীতির ক্ষোভের শিকার হয়েছি। আমার সাথে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা কর্মীদের ব্যাপক সাড়া আছে। আপনারা যদি উন্নয়ন চান মহাজোটের প্রার্থীকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিবেন।

কারণ এখানে ১০ বছর মহাজোটের এমপি ছিলেন। সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। পরবর্তীতে একজন ভদ্র লোক এমপি হয়েছিলেন। সরকারের সাথে সুসম্পর্ক না থাকায় তিনি কোন কাজই করতে পারেননি। আপনাদের অবশ্যই মনে আছে এই দেশের যোগাযোগ খাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরে এরশাদ সরকার বা জাতীয় পার্টির আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, পথকলি ট্রাস্ট, গুচ্ছ গ্রাম, সেনা সদস্যদের শান্তি মিশনে প্রেরণ, গার্মেন্টস শিল্পকে অগ্রসর করে ঔষধ শিল্পের মান উন্নয়ন জাতীয় পার্টি বা পল্লী বন্ধু এরশাদেরই অবদান। তাই আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারি মহাজোটের প্রার্থী আমি রেজাউল ইসলামকে লাঙ্গল মার্কায় দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ দিন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। উপজেলা জাপা নেতা মজিদ বক্স ও জাতীয় যুবসংহতি নেতা বিল্লাল মিয়ার সঞ্চালনায় ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জাপা’র আহবায়ক এমদাদুল হক ছালেক। বক্তব্য রাখেন- জেলা জাপার সদস্য সচিব মো. নাছির খান, যুগ্ম আহবায়ক মো. রহমত হোসেন, শেখ মো. ইয়াছিন, সিনিয়র যুগ্ম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলমগির মিয়া, উপজেলা জাপা’র যুগ্ম আহবাযক মো. সরাফত আলী, মো. ইউসুফ মিয়া, কাজল মিয়া ও সাবেক যুবলীগ নেতা কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী। আহবায়ক এমদাদুল হক ছালেক সমাপনী বক্তব্যে বলেন, হুমায়ুন মিয়া ও মুফতি আমিনী তো বহিরাগত ছিলেন। তারা তো এই এলাকার মানুষের ভোটে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। তাহলে তারা কী কুলাঙ্গার ছিলেন?
প্রসঙ্গত: রেজাউল ইসলাম সভায় নিজেকে শেখ হাসিনার নির্দেশিত মনোনিত মহাজোটের প্রার্থী দাবী করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা অঙ্গসংঠনের কোন নেতাকে উপস্থিত করতে পারেননি।