সরাইলে হাফিজ হত্যা মামলায় ৩ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব

- আপডেট সময় : ০৮:১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের হরিপুরের সালিসকারক ও ব্যবসায়ি হাফিজ (৪৭) হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ৩ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান-৯ (র্যাব)। গ্রেপ্তারকৃত এজহারভুক্ত ৩ আসামী হলো পাকশিমুল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের প্রয়াত আমিন মিয়ার ৩ ছেলে রায়হান (১৯), সাইফুল (২২) ও তফসির (২৭)। গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে র্যাব সদস্যরা নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানা এলাকায় ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ৩ আসামী গ্রেপ্তারের খবরে নিহতের স্বজনদের মাঝে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে।
র্যাব, মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রূতার জের ধরে গত ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে হরিপুর সমুজ আলীর বাড়ির রাস্তায় একা পেয়ে হাফিজ উদ্দিনের গতিরোধ করে রায়হান, সাইফুল, তফসিরের নেতৃত্বে একদল লোক। তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাফিজ উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। ছুরা ও চাকু দিয়ে হাফিজ উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরূতর রক্তাক্ত জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাফিজ উদ্দিনকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে গভীর রাতে হাফিজ মারা যায়। রাতেই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় রায়হান গংরা। পরের দিন ৫ আগস্ট শনিবার নিহত হাফিজের স্ত্রী শাহানা আক্তার বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা পলাতক থাকায় র্যাব উক্ত মামলার ছায়া তদন্ত শুরূ করেন। র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া অফিসার) আফসান-আল-আলম জানান, র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার এজহারনামীয় ২ নম্বর আসামী রায়হান ও সাইফুলকে ১১ আগস্ট রাত ৩ টা ৩০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে একই রাত ২টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তফছিরকে গ্রেপ্তার করেন। গতকাল শনিবার ৩ আসামীকে সরাইল থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। প্রসঙ্গত: গত রমজান মাসে হরিপুর গ্রামের জোয়াদ আলীর ছেলে মুজিবুর রহমানের (৩৮) মুদির দোকান চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে আমিন মিয়ার ছেলে রায়হানের ভাই সাইফুল (২২)। সালিসে ছিলেন হাফিজ উদ্দিন। এতে রায়হান গংরা ক্ষুদ্ধ হয় হাফিজের উপর। এরই জের ধরে গত প্রায় এক মাস আগে রায়হানরা তিন ভাই মিলে হাফিজের উপর হামলা করেছিল। এ ঘটনায় ৫ সন্তানের জনক হাফিজ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডারেরী করেছিলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় কিছু লোক ও পুলিশের সহায়তায় নিস্পত্তি হয়। নিস্পত্তির পরও যে খুনের শিকার হতে হবে এমনটি অজানা ছিল হাফিজ ও তার পরিবারের লোকদের।