সরাইলে বজ্রপাতে মেহেদী হাসান (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩ মে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ষোলাবাড়ি এলাকার সামছুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটেছে। মেহেদী ওই গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক শাহ নেওয়াজের ছেলে। তার আকস্মিক মৃত্যুতে ম্লান হয়ে গেছে পরিবারের ঈদের আনন্দ। নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান মেহেদী। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী সবার ছোট। স্থানীয় হযরত সৈয়দ আব্দুর রউফ শাহ সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার হেফ্জ বিভাগের ছাত্র। ইতিমধ্যে পাঁচপারা পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছিল। ঈদ আনন্দে সকাল থেকেই উৎফুল্ল ছিল মেহেদী। পরিবার ও সহপাঠিদের সাথে হেঁসে খেলে ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। দলবেঁধে সকলের সাথে বাড়িতে এসেছে। এর কিছুক্ষণ পর সহপাঠিদের সাথে ফুটবল খেলতে ওই স্কুলের মাঠে। আকাশ তখন চারিদিকে মেঘাচ্ছন্ন ছিল। মেহেদীরা মাঠে ফুটবল খেলছে। অন্ধকারও বাড়ছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ঈদ আনন্দ। তাই বৃষ্টিও তাদের খেলায় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারছে না। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকাতে চমকাতে বিকট শব্দে বজ্রপাত। সকল সহপাঠি অক্ষত থাকলেও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মেহেদী। সমস্ত শরীর জ্বলছে যায়। শব্দ নেই। নেই কোন নড়াচড়া। স্বজনরা দ্রূত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন আরো আগেই মেহেদী মারা গেছে। ঈদের দিনে পরিবারের হাফেজি পড়ুয়া কিশোর সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় মেহেদীর মা। শোকে পাথর হয়ে গেছে গোটা পরিবার। ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. দ্বীন ইসলাম। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাদ আছর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল মুঠোফোনে বলেন, আগে জানিনি। এখনও সেখানকার চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ কিছু জানাননি। এইমাত্র আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
মাহবুব খান বাবুল