মাঘের বৃষ্টিতে- সরাইলে ইটভাটার ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ২১৩ বার পড়া হয়েছে
মাঘ মাসে দুই দিনের বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেছে ইটভাটার উৎপাদন। কোটি টাকার ক্ষতি গুণতে হবে সরাইলের ইটভাটার মালিকদের। শ্রমিকরা হাঁসলেও কাঁদছেন শ্রমিক সর্দাররা। কারণ মালিকের পরই ক্ষতির বোঝা টানতে হবে তাদের। এভাবে যদি আবারও বৃষ্টি হয় তবে ইটের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। আজ শনিবার বিকেলে সরজমিনে কালীকচ্ছ মৌজার আকাশি হাওরের ইটভাটা গুলোতে দেখা যায় সর্বত্রই নিরবতা। গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি তছনছ করে দিয়েছে এখানকার ইটভাটা গুলোকে। ভাটা গুলোর সর্বত্রই জনমানব শুন্য। বৃষ্টির পানিতে সরূ পথ সহ সর্বত্রই কাঁদা পানি। ইটের ঝনঝনানি নেই। শব্দ নেই ট্রাক্টরেরও। মাটি নরম করার মেশিন গুলো খাঁখাঁ করছে। দৌঁড়ে আসে আশিক (১৬) নামের এক কিশোর। শ্রমিকরা গেল কোথায়? আশিক বলে, বৃষ্টি সব বন্ধ করে দিয়েছে। উৎপাদনও বন্ধ। তাই শ্রমিকরা বাড়িতে চলে গেছে। সবকিছু শুকিয়ে আবার উৎপাদন শুরূ হলে সবাই চলে আসবে। আরেকটু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে করূন চিত্র। অনেক সুন্দর করে সাজানো কাঁচা ইটের ষ্টাইক গুলো বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গলে নীচে পড়ে আছে। বৃষ্টি পড়ে হাজার হাজার ইটে স্পট পড়ে গেছে। সরাইল উপজেলার প্রায় ৩০ টি ইটভাটাই বৃষ্টির কারণে বিশাল ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। শাহজাদাপুর এলাকাল কল্যাণ ব্রিকসের মালিক মো. নূরূল ইসলাম কালন বলেন, দুই দিনের বৃষ্টি আমাদের শেষ করে দিয়ে দিয়েছে। গলে গেছে লাখ লাখ ইটা। ভেঙ্গে চৌচিরও হয়েছে। ভাটা পরিস্কার করে এ ভাঙ্গা গলা ইট গুলিকে আবার মাটির স্তুপে নিতে হবে। ভাটার সকল কিছু শুকাতে হবে। কমপক্ষে ১০ দিনের আগে আবার উৎপাদন কাজ করা সম্ভব না। প্রত্যেক ভাটার কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সমগ্র উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার উপরে হবে।
মাহবুব খান বাবুল