ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি বন্দিদের ইফতারে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারা কর্তৃপক্ষ

মাঘের বৃষ্টিতে- সরাইলে ইটভাটার ৩ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ২৫১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঘ মাসে দুই দিনের বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেছে ইটভাটার উৎপাদন। কোটি টাকার ক্ষতি গুণতে হবে সরাইলের ইটভাটার মালিকদের। শ্রমিকরা হাঁসলেও কাঁদছেন শ্রমিক সর্দাররা। কারণ মালিকের পরই ক্ষতির বোঝা টানতে হবে তাদের। এভাবে যদি আবারও বৃষ্টি হয় তবে ইটের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। আজ শনিবার বিকেলে সরজমিনে কালীকচ্ছ মৌজার আকাশি হাওরের ইটভাটা গুলোতে দেখা যায় সর্বত্রই নিরবতা। গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি তছনছ করে দিয়েছে এখানকার ইটভাটা গুলোকে। ভাটা গুলোর সর্বত্রই জনমানব শুন্য। বৃষ্টির পানিতে সরূ পথ সহ সর্বত্রই কাঁদা পানি। ইটের ঝনঝনানি নেই। শব্দ নেই ট্রাক্টরেরও। মাটি নরম করার মেশিন গুলো খাঁখাঁ করছে। দৌঁড়ে আসে আশিক (১৬) নামের এক কিশোর। শ্রমিকরা গেল কোথায়? আশিক বলে, বৃষ্টি সব বন্ধ করে দিয়েছে। উৎপাদনও বন্ধ। তাই শ্রমিকরা বাড়িতে চলে গেছে। সবকিছু শুকিয়ে আবার উৎপাদন শুরূ হলে সবাই চলে আসবে। আরেকটু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে করূন চিত্র। অনেক সুন্দর করে সাজানো কাঁচা ইটের ষ্টাইক গুলো বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গলে নীচে পড়ে আছে। বৃষ্টি পড়ে হাজার হাজার ইটে স্পট পড়ে গেছে। সরাইল উপজেলার প্রায় ৩০ টি ইটভাটাই বৃষ্টির কারণে বিশাল ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। শাহজাদাপুর এলাকাল কল্যাণ ব্রিকসের মালিক মো. নূরূল ইসলাম কালন বলেন, দুই দিনের বৃষ্টি আমাদের শেষ করে দিয়ে দিয়েছে। গলে গেছে লাখ লাখ ইটা। ভেঙ্গে চৌচিরও হয়েছে। ভাটা পরিস্কার করে এ ভাঙ্গা গলা ইট গুলিকে আবার মাটির স্তুপে নিতে হবে। ভাটার সকল কিছু শুকাতে হবে। কমপক্ষে ১০ দিনের আগে আবার উৎপাদন কাজ করা সম্ভব না। প্রত্যেক ভাটার কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সমগ্র উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার উপরে হবে।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মাঘের বৃষ্টিতে- সরাইলে ইটভাটার ৩ কোটি টাকার ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাঘ মাসে দুই দিনের বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেছে ইটভাটার উৎপাদন। কোটি টাকার ক্ষতি গুণতে হবে সরাইলের ইটভাটার মালিকদের। শ্রমিকরা হাঁসলেও কাঁদছেন শ্রমিক সর্দাররা। কারণ মালিকের পরই ক্ষতির বোঝা টানতে হবে তাদের। এভাবে যদি আবারও বৃষ্টি হয় তবে ইটের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। আজ শনিবার বিকেলে সরজমিনে কালীকচ্ছ মৌজার আকাশি হাওরের ইটভাটা গুলোতে দেখা যায় সর্বত্রই নিরবতা। গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি তছনছ করে দিয়েছে এখানকার ইটভাটা গুলোকে। ভাটা গুলোর সর্বত্রই জনমানব শুন্য। বৃষ্টির পানিতে সরূ পথ সহ সর্বত্রই কাঁদা পানি। ইটের ঝনঝনানি নেই। শব্দ নেই ট্রাক্টরেরও। মাটি নরম করার মেশিন গুলো খাঁখাঁ করছে। দৌঁড়ে আসে আশিক (১৬) নামের এক কিশোর। শ্রমিকরা গেল কোথায়? আশিক বলে, বৃষ্টি সব বন্ধ করে দিয়েছে। উৎপাদনও বন্ধ। তাই শ্রমিকরা বাড়িতে চলে গেছে। সবকিছু শুকিয়ে আবার উৎপাদন শুরূ হলে সবাই চলে আসবে। আরেকটু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে করূন চিত্র। অনেক সুন্দর করে সাজানো কাঁচা ইটের ষ্টাইক গুলো বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গলে নীচে পড়ে আছে। বৃষ্টি পড়ে হাজার হাজার ইটে স্পট পড়ে গেছে। সরাইল উপজেলার প্রায় ৩০ টি ইটভাটাই বৃষ্টির কারণে বিশাল ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। শাহজাদাপুর এলাকাল কল্যাণ ব্রিকসের মালিক মো. নূরূল ইসলাম কালন বলেন, দুই দিনের বৃষ্টি আমাদের শেষ করে দিয়ে দিয়েছে। গলে গেছে লাখ লাখ ইটা। ভেঙ্গে চৌচিরও হয়েছে। ভাটা পরিস্কার করে এ ভাঙ্গা গলা ইট গুলিকে আবার মাটির স্তুপে নিতে হবে। ভাটার সকল কিছু শুকাতে হবে। কমপক্ষে ১০ দিনের আগে আবার উৎপাদন কাজ করা সম্ভব না। প্রত্যেক ভাটার কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সমগ্র উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার উপরে হবে।

মাহবুব খান বাবুল