ভৈরব ট্রেজেডিঃ ওমরা করা হল না নিজাম উদ্দিনের

- আপডেট সময় : ০৮:১৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা দিতে আর নাতিকে দেখতে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেন নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫)। ঢাকা পৌছানোর আগেই কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। ট্রেনে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর মেঝো ছেলের বউ ফাতেমা (২৩) বেগম, নাতনি তানহা বেগম (৪) ও নাতি মুয়াস উদ্দিন (১০মাস) ছিল । তারা ৩ জনই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। তবে তারা আহত হয়ে জহিরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিজাম উদ্দিন সরকারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে গ্রামের প্রধান কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ৩ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টের ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ঢাকাগামী এগারোসিন্ধুর ট্রেনটিকে মালবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হন। এই দীর্ঘ লাশের সারির একজন নিজাম উদ্দিন সরকার। ছেলের বউ ও নাতি নাতনিরা সামান্য আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯ টায় ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা, নাতিকে দেখা ও ছেলের বউ ফাতেমার চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি। সকাল ১১ টায় কালনী ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। ট্রেনটি মিস করায় পরে মেঝো ছেলের বউ ও নাতি নাতনিসহ ৩টার দিকে এগারোসিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন নিজাম। ভৈরব থেকে ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ট্রেন দূর্ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
গতকাল দুপুরে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার রাতে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে সৌদিআরব থেকে সকালে বাড়িতে আসেন বাবাকে শেষ দেখা দেখতে। বাবার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আহাজারি করছিলেন কাঞ্চনসহ স্বজনেরা। ছোট ছেলে আনিস কাঁন্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘ বাবা ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। প্রথমে আমার বাসায় আসার কথা ছিল। বাবার আর হজ্ব করা হল না। আল্লাহ যদি বাবার হজ্ব কবুল করেন।