ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসকদের সেবা বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

সদর হাসপাতালের ইনডোর আউডডোরে বেড়েছে রোগীর চাপ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ ২দিন বন্ধ রেখেছে রোগীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রাইভেট হাসপাতালে আসা সেবা প্রত্যাশী রোগীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ইনডোর আউডডোরে বেড়েছে রোগীর চাপ। হাসপাতালে তিল পরিমান জায়গা নেই। প্রচন্ড গরমের মাঝে মেঝেতে বাড়ান্দায় যে যেখানে পাড়ছে সেখানে বসেই সেবা নিচ্ছে। এদিকে সারাদেশে হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ও ভুল ব্যাখায় চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারকৃত ডা. মিলি, ডা. মুনা ও ডা. শাহাজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে দফায় দফায় মানববন্ধন করেছে চিকিৎসকরা। এ সময় চিকিৎসকরা বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই। একজন মুমুর্ষ রোগীকে নির্ভয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। চিকিৎসকরা নিগ্রহ এবং মামলায় পড়লে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ চিকিৎসকেরা রোগীদের প্রতি খুবই আন্তরিক ও যত্নশীল উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপী বলেন, অনেকে ধারণা করেন যে চিকিৎসকেরা কোনো কারণ ছাড়া সিজার করে ফেলেন। এটা সম্পুর্ণ ভুল ধারণা। নিরাপদ প্রসব, মা ও সন্তানের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনবোধে সিজার করা হয়। ডা. মিলির বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা করা হয়েছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদী’কে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। প্রাইভেট চিকিৎসা বন্ধ থাকায় আমাদের রাত একটা থেকে একের পর এক ইমারজেন্সি ফোন আসছে। আমারা রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসকদের সেবা বন্ধ

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ ২দিন বন্ধ রেখেছে রোগীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রাইভেট হাসপাতালে আসা সেবা প্রত্যাশী রোগীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ইনডোর আউডডোরে বেড়েছে রোগীর চাপ। হাসপাতালে তিল পরিমান জায়গা নেই। প্রচন্ড গরমের মাঝে মেঝেতে বাড়ান্দায় যে যেখানে পাড়ছে সেখানে বসেই সেবা নিচ্ছে। এদিকে সারাদেশে হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ও ভুল ব্যাখায় চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারকৃত ডা. মিলি, ডা. মুনা ও ডা. শাহাজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে দফায় দফায় মানববন্ধন করেছে চিকিৎসকরা। এ সময় চিকিৎসকরা বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই। একজন মুমুর্ষ রোগীকে নির্ভয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। চিকিৎসকরা নিগ্রহ এবং মামলায় পড়লে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ চিকিৎসকেরা রোগীদের প্রতি খুবই আন্তরিক ও যত্নশীল উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপী বলেন, অনেকে ধারণা করেন যে চিকিৎসকেরা কোনো কারণ ছাড়া সিজার করে ফেলেন। এটা সম্পুর্ণ ভুল ধারণা। নিরাপদ প্রসব, মা ও সন্তানের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনবোধে সিজার করা হয়। ডা. মিলির বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা করা হয়েছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদী’কে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। প্রাইভেট চিকিৎসা বন্ধ থাকায় আমাদের রাত একটা থেকে একের পর এক ইমারজেন্সি ফোন আসছে। আমারা রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছি।