বিরিয়ানির সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

- আপডেট সময় : ০৮:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিরিয়ানির সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী শিপন আহমেদ’র বিরুদ্ধে। তিনি আখাউড়া পৌরশহরের ১নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের হাবিবুল্লাহ হিরুর ছেলে। গত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিপন আহম্মদকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই গৃহবধূ শিপন আহমেদ’র বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। তার স্বামী অটোরিকশাচালক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ভিকটিমের স্বামীকে কৌশলে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানের কাজে ডেকে পাঠায় বাড়ির মালিক শিপন আহম্মদ। এ সময় ওই নারীর শিশু সন্তান ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিল না।পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই নারীর ঘুম ভাঙিয়ে দুই প্যাকেট বিরিয়ানি নিয়ে ঘরে যায় শিপন। বিরিয়ানি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অচেতন করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে শিপন আহমেদ। একপর্যায়ে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তার শিশু সন্তান ও স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় শিপন আহমেদ। শিপন নিজেকে অনেক ক্ষমতাশীল বলে প্রচার করে। শিপনের বিচারের জোরালো দাবি জানান অসহায় নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।
এদিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিপন আহমেদ’র নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকে সংগৃহিত আলোকচিত্র সমূহ থেকে দেখা যায়, তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে যুবলীগের দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপজেলা ও পৌর যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যমনি হিসেবে ফ্রন্টলাইনে অবস্থান করতেন৷তাছাড়া তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু,প্রধানমন্ত্রী,আইনমন্ত্রী, স্থানীয় মেয়র ও যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ছবি ব্যবহার করে পৌর যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালান। এবিষয়ে আখাউড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান জানান, শিপন আহমেদ যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিন্তু তার কোন পদ পদবী নেই।সে যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে অপরাধ সাব্যস্ত হলে আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এবিষয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিপন আহমেদ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।তদন্ত করে, মেডিকেল টেস্ট করে প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী যেটা বিচার হয় সেটা হবে। আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নির্যাতিত ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনই আকন্ঞ্জি