বসাতে টাকায় বেড়েছিল গতি ঝুঁকি থাকলেও সংস্কারে নেই

- আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২ ৮৬০ বার পড়া হয়েছে
সরাইলে প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরূ থেকেই চলছে অনিয়ম আর দূর্নীতির মধ্য দিয়ে। নিয়মের কোন বালাই ছিল না। যেখানে টাকা পেয়েছেন সেখানেই দিয়েছেন খুঁটি। টাকার চুক্তি না করায় পিডিবি অফিস সংলগ্ন বড়দেওয়ান পাড়ার ৪টি ঝরাজীর্ণ খুঁটি বদল করে দেয়নি ওই প্রকল্পের লোক। প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি আর কর্মকর্তার ইশারায় ১৫ খুঁটি চুরি ও জিডির নাটকও দেখেছেন সরাইলবাসী। জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রমাণসহ প্রকাশিত হয়েছে। বিনা মূল্যের বৈদ্যুতিক খুঁটি লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে লুটপাটের রাম রাজত্ব কায়েক করে গেছেন ঠিকাদারের সুপার ভাইজার সোহেল। তাকে সহযোগিতা করেছেন সরাইল পিডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সরাইল সদরের সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় সরাইল-পানিশ্বর সড়কের পাশের জাফর খালে এক সপ্তাহ ধরে হেলে পড়ে থাকা খুঁটি গুলোও ওই প্রকল্পেরই। স্থানীয়রা জানায়, তাদের তৈরী সিন্ডিকেট ও দালালদের মাধ্যমে চড়াদামে সেখানে খুঁটি গুলো বিক্রি করেছিল সোহেল। টাকা পাওয়ার পর কি যে দৌড়ঝাঁপ। সেখানকার যাতায়ত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তারপরও টাকা পাওয়ার পর বিদ্যুৎগতিতে সেখানে পৌঁছে গেছে খুঁটি। নতুন মাটিতে খুঁটি বসে গেছে চোখের পলকে। স্বল্প সময়ের মধ্যে খুঁটিতে লাগানো হয়েছে ক্যাবল। জ্বলে ওঠেছে বাতি। তড়িঘড়ি করা কাজ গুলো ভাল হয়নি। কিছুদিন পরই বৃষ্টি হওয়ায় একাধিক খুঁটি ক্যাবলসহ হেলে পড়ছে। ওই সড়কের পাশের খালের উপর আরো ৪-৫ টি খুঁটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ভাবে পড়ে থাকলে যেকোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মত ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ ওই খুঁটি গুলো সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেই সরাইল পিডিবি কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় লোকজন বলেন, আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। বারবার জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকারি লোকজন। টাকার চুক্তি নেই। তাই গুরূত্ব দিচ্ছে না। আমাদের খুঁটি তুলে ঠিকমত বসিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে জানতে সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) আব্দুর রউফ-এর অফিসিয়াল মুঠোফোন নম্বরে () একাধিকবার ফোন দিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মাহবুব খান বাবুল