ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত চলা চলের রাস্তায় বেড়া নির্মাণ, একসপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ বৃদ্ধ কাজল মিয়ার পরিবার রূপম ধরের তুলিতে তিতাস পাড়ের গল্প: তরী বাংলাদেশের নদী সম্মেলন সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদ: বেদে প্রেমিক যুগলের বিষপান, হাসপাতালে ভর্তি একটি পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ আ.লীগ নেতা ও এস.আই’র বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনেসথেসিয়া সোসাইটির কমিটি গঠন, নেতৃত্বে ডা. মকবুল-ডা. আরিফ ৫০ কেজি গাঁজা ১টি পিকআপ ভ্যানসহ ১ জন গ্রেফতার জনগণের ভালবাসা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে-খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল

নবীনগরে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি দখল/ বাড়ি ভূমিদস্যুদের কবলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবীনগরে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোবারক গং এর বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। পাশাপাশি নবীনগরের সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এত কিছুর পরও ভূমিদস্যু মোবারক গংদের কবল থেকে সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারছেন না ভুক্তভোগী মোঃ আল আমিন চৌধুরী। আল আমিন চৌধুরী ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক এশিয়ান এইজ এর প্রকাশক। তিনি নবীনগর উপজেলার কণিকাড়া গ্রামের মুর্শিদ আলম চৌধুরীর ছেলে। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার অন্তর্গত বিদ্যাকুট মৌজার ১০০৫৫ নং দাগে অবস্থিত ০৬ (ছয়) শতাংশ আয়তনের বাড়িটি মোঃ আল আমিনের পিতা মুর্শিদ আলম চৌধুরী চৌধুরীর মালিকানাধীন। প্রায় ৩ দশক আগে পারিবারিক বন্টনমতে আল আমিন চৌধুরী প্রাপ্ত হয়ে নামজারি খতিয়ানসহ আরও অন্যান্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। পত্রিকা প্রকাশনাসহ ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আল আমিন চৌধুরীকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। ফলে আল আমিন চৌধুরী জনৈক আব্দুল মান্নানকে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব দেয়ার পর আব্দুল মান্নান স্বপরিবারে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন। আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর তার ছেলে মোবারক হোসেন, শামছুল হক, জিয়াউল হকসহ অন্যান্যরা বসবাস করে। এ অবস্থায় আল আমিন নিজ গ্রামের বাড়িতে বসবাসের চিন্তাভাবনা থেকে গ্রামে এসে বাড়িটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আব্দুল মান্নানের ছেলেদেরকে এ বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে উল্টো তারা আল আমিনকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে মোবারক গং আল আমিনকে এই বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। একটি সূত্র জানায়- মোবারক গং কণিকাড়া গ্রামের কিছু অসাধু প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের মদদে বাড়িটি কব্জা করার মতলব এটেছেন। মোবারক গংয়ের নেতৃত্বে তারা আল আমিন চৌধুরীকে গ্রামছাড়া করার ষড়যন্ত্র আঁটছেন। একই সাথে আল আমিন চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে আসছে মোবারক গং। জানা গেছে, একদিকে মান সম্মান ও পারিবারিক সম্পত্তি জবর দখল, অন্যদিকে নিজের জীবনসহ পরিবারের সদস্যদের জীবনের উপর হুমকি এসব নিয়ে আল আমিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শে তিনি গত ১৫ জানুয়ারি নবীনগর থানায় জিডির মাধ্যমে আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন (যার নং-৮৪৪)। এশিয়ান এইজ এর প্রকাশক মোঃ আল আমিন চৌধুরী বলেন- ‘আমার বাড়ি দেখাশুনার জন্য কেয়ারটেকার রেখেছিলাম। এখন কেয়ারটেকারের ছেলেই স্থানীয় কয়েকজন অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের কুপরামর্শে আমার বাড়িটি কব্জা করার ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের কবল থেকে আমার বাড়িটিও মুক্ত করতে পারিনি। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এনই আকন্ঞ্জি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নবীনগরে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি দখল/ বাড়ি ভূমিদস্যুদের কবলে

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নবীনগরে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোবারক গং এর বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। পাশাপাশি নবীনগরের সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এত কিছুর পরও ভূমিদস্যু মোবারক গংদের কবল থেকে সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারছেন না ভুক্তভোগী মোঃ আল আমিন চৌধুরী। আল আমিন চৌধুরী ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক এশিয়ান এইজ এর প্রকাশক। তিনি নবীনগর উপজেলার কণিকাড়া গ্রামের মুর্শিদ আলম চৌধুরীর ছেলে। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার অন্তর্গত বিদ্যাকুট মৌজার ১০০৫৫ নং দাগে অবস্থিত ০৬ (ছয়) শতাংশ আয়তনের বাড়িটি মোঃ আল আমিনের পিতা মুর্শিদ আলম চৌধুরী চৌধুরীর মালিকানাধীন। প্রায় ৩ দশক আগে পারিবারিক বন্টনমতে আল আমিন চৌধুরী প্রাপ্ত হয়ে নামজারি খতিয়ানসহ আরও অন্যান্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। পত্রিকা প্রকাশনাসহ ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আল আমিন চৌধুরীকে ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। ফলে আল আমিন চৌধুরী জনৈক আব্দুল মান্নানকে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব দেয়ার পর আব্দুল মান্নান স্বপরিবারে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন। আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর তার ছেলে মোবারক হোসেন, শামছুল হক, জিয়াউল হকসহ অন্যান্যরা বসবাস করে। এ অবস্থায় আল আমিন নিজ গ্রামের বাড়িতে বসবাসের চিন্তাভাবনা থেকে গ্রামে এসে বাড়িটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আব্দুল মান্নানের ছেলেদেরকে এ বাড়ি ছেড়ে দিতে বললে উল্টো তারা আল আমিনকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে মোবারক গং আল আমিনকে এই বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। একটি সূত্র জানায়- মোবারক গং কণিকাড়া গ্রামের কিছু অসাধু প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের মদদে বাড়িটি কব্জা করার মতলব এটেছেন। মোবারক গংয়ের নেতৃত্বে তারা আল আমিন চৌধুরীকে গ্রামছাড়া করার ষড়যন্ত্র আঁটছেন। একই সাথে আল আমিন চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে আসছে মোবারক গং। জানা গেছে, একদিকে মান সম্মান ও পারিবারিক সম্পত্তি জবর দখল, অন্যদিকে নিজের জীবনসহ পরিবারের সদস্যদের জীবনের উপর হুমকি এসব নিয়ে আল আমিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শে তিনি গত ১৫ জানুয়ারি নবীনগর থানায় জিডির মাধ্যমে আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন (যার নং-৮৪৪)। এশিয়ান এইজ এর প্রকাশক মোঃ আল আমিন চৌধুরী বলেন- ‘আমার বাড়ি দেখাশুনার জন্য কেয়ারটেকার রেখেছিলাম। এখন কেয়ারটেকারের ছেলেই স্থানীয় কয়েকজন অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের কুপরামর্শে আমার বাড়িটি কব্জা করার ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের কবল থেকে আমার বাড়িটিও মুক্ত করতে পারিনি। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এনই আকন্ঞ্জি