ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা

- আপডেট সময় : ১০:২১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার অভুল্থানে আহত ও শহীদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিততে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ-র সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টর ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে আজ ২৮ নভেম্বর এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই নিহত ও আহতদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। জেলা প্রশাসক নিহতের পিতা ও আহতদের হাতে ফুল দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদা আক্তার এ-র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাভেদুর রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ নোমান মিয়া, ডিডিসমাজসেবা আঃ কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর মোঃ গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ জসিমউদদীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য বায়জিদুর রহমান সিয়াম,নিহতের পক্ষে নিহত হোসাইনের পিতা ও আহতদের পক্ষে ইউনাইটেড কলেজের ছাত্র নাটাই গ্রামের দীন ইসলাম। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ পিতার কাঁধে তুলার জন্য যাঁরা দায়ি তাদের বিচার হবেই হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, মানুষ যখন অত্যাচার করতে থাকে, তখন আল্লাহর তরফ বাহিনী নেমে আসে। তিনি বলেন, দুই হাজার মানুষ মারা গেছে, তাদের বিচার হবেই এবং হওয়া উচিত। আল্লাহর তরফ থেকে বিচার হবে। বিচার তাদের করতেই হবে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। তিনি বলেন হতাশ হবেন না, সরকারের প্রতি আমাদের প্রতি আস্হা রাখতে পারেন। যেকোনো প্রয়োজনে চলে আসবেন। আমরা সবসময়ই আপনাদের পাশেই আছি এবং থাকবো। আলোচনা শেষে কোর্ট মসজিদের ইমাম মোঃ আবদুল্লাহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিহত ১০ হাজার ও আহতদের ৫ হাজার করে প্রাইজবন্ড এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। তার মধ্যে নিহত ১ জন ও আহত ১৪ জনকে ওই উপহার তাদের হাতে ও পরিবারের হাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম তুলে দেন।