ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিজের অনিয়মের দায় থেকে বাচঁতে এক প্রধান শিক্ষক নিজেই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে এই মানববন্ধনের বিষয়ে কিছুই জানে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জানা যায় জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে গত ৩০ মে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়টি মো. শাখাওয়াত হোসেন নামে একজন অভিভাবক। তিনি তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক অনিয়ম, সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে না আসাসহ একাধিক অভিযোগ। এই নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে তদন্তও করে। এই দায়ভার থেকে বাচঁতে প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বিদ্যালয় ছুটির পর কোমলমতি শিশুদের আটকে রেখে গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার পক্ষে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করেন। সাথে তার পছন্দমত কয়েকজন অভিভাবকেও রাখেন। যদিও বিদ্যালয়টি বিকাল ৪টায় ছুটি দেওয়ার কথা। বিদ্যালয়াটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, এই মানববন্ধন নিয়ে আমরা কিছু জানি না। প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম স্যার আমাদের থাকতে বলছেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃহস্প্রতিবার দুপুরে জানান আমরা কিছুই জানি না, হেড স্যার থাকতে বলছে। অভিযোগকারী শাখাওয়াত হোসেন জানান প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম নিজের দায় থেকে বাচঁতে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করার চেষ্টা করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ঠ বিভাগকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অভিযোগের ব্যাপারে বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম জানান আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি, মানববন্ধন বুঝে, এই বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তবে এই ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকারের মুঠোফোনে ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।