Dhaka 10:03 am, Tuesday, 7 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

সরাইলে মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:14:46 pm, Wednesday, 18 January 2023
  • 93 Time View

নিহত মানিকের স্ত্রী সমিনা বেগম

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকার চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে মানিক মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ করছেন স্ত্রী ও স্বজনরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ বিলের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছেন। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, দুই সন্তানের জনক মৃত এলেম মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া মাছের ব্যবসা করতেন। আপন খালাত ভাই আসমত মিয়ার কাছ থেকে সুদের উপর ৫০ হাজার এনেছিলেন মানিক। মূল ও সুদের টাকার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে মানিককে চাপ দিচ্ছিলেন আসমত। অভাবের কারণে টাকাটা দিতে পারছিলেন না মানিক। এতে ক্রমেই মানিকের উপর ক্ষুদ্ধ হচ্ছিলেন আসমত। মানিকের স্ত্রী সমিনা বেগম (৩২) জানান, মঙ্গলবার রাত ৭টার দিতে ৩-৪ জন লোক নিয়ে মানিকের বাড়িতে আসে আসমত। টাকা চাইলে মানিক সময় চান। এরপরই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসমতের নেতৃত্বে অন্যরা মানিককে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এক সময় মাটিতে পড়ে যায় মানিক। মানিককে স্বজনরা প্রথমে কালীকচ্ছ বাজারে ও পরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যান। অবস্থার অননতি দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎক। সেখানে নেওয়ার পর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন। মানিকের স্ত্রী সমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আসমত ও তার লোকজন এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আর আসমতের স্বজনদের দাবী স্টোক করে মানিক মারা গেছেন। সরাইল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শেহাবুর রহমান মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

সরাইলে মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ

Update Time : 12:14:46 pm, Wednesday, 18 January 2023

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পাওনা টাকার চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে মানিক মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ করছেন স্ত্রী ও স্বজনরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ বিলের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছেন। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, দুই সন্তানের জনক মৃত এলেম মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া মাছের ব্যবসা করতেন। আপন খালাত ভাই আসমত মিয়ার কাছ থেকে সুদের উপর ৫০ হাজার এনেছিলেন মানিক। মূল ও সুদের টাকার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে মানিককে চাপ দিচ্ছিলেন আসমত। অভাবের কারণে টাকাটা দিতে পারছিলেন না মানিক। এতে ক্রমেই মানিকের উপর ক্ষুদ্ধ হচ্ছিলেন আসমত। মানিকের স্ত্রী সমিনা বেগম (৩২) জানান, মঙ্গলবার রাত ৭টার দিতে ৩-৪ জন লোক নিয়ে মানিকের বাড়িতে আসে আসমত। টাকা চাইলে মানিক সময় চান। এরপরই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসমতের নেতৃত্বে অন্যরা মানিককে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এক সময় মাটিতে পড়ে যায় মানিক। মানিককে স্বজনরা প্রথমে কালীকচ্ছ বাজারে ও পরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যান। অবস্থার অননতি দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎক। সেখানে নেওয়ার পর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন। মানিকের স্ত্রী সমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আসমত ও তার লোকজন এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আর আসমতের স্বজনদের দাবী স্টোক করে মানিক মারা গেছেন। সরাইল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শেহাবুর রহমান মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।