Dhaka 7:11 am, Sunday, 19 May 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত বিএনপির আমলে ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বেশি ছিল : আইনমন্ত্রী দাঙ্গা ভুলে শান্তির দাবীতে সরাইলে শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সরাইলে আ’লীগ নেতাসহ ৩০ নদী দখলদার চিহ্নিত ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নোটিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত সরাইলে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা বিজয়নগরে ভূমিদস্যু ইউনুসের অত্যাচারে টিকতে না পেরে থানায় অভিযোগ আশুগঞ্জে দুর্নীতি বিরোধী রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সরাইলে অগ্নিকান্ডে ১৫ দোকান পুড়ে ছাঁই দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সরাইলে মারধরের মামলায় শিশু গ্রেপ্তার আদালতে প্রেরণ

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:25:06 pm, Sunday, 28 August 2022
  • 738 Time View

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. রাকিব হোসেন (১৫ বছর, ৫ মাস, ২৫ দিন) নামের এক শিশুকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। রাকিবের জন্ম নিবন্ধন নং-২০০৭১২১৯৪৯০০২৫৮৫২। গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মলাইশ গ্রামে অভিযান করে নিজের বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় আবু ছালেকের ওই শিশু পুত্রকে গ্রেপ্তার করেন সরাইল থানার এস আই মো. জয়নাল। শিশু অপরাধীকে স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর বিধান। গতকাল শনিবার মামলার এজহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে শিশু রাকিবের বয়স ১৯ বছর রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ, মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল ছালেক ও মুসা মিয়ার বাড়ি পাশাপাশি। গত শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে জমিতে ধান কাটছিলেন ছালেক। বাবার কাজে সহযোগিতা করছিল শিশু জুনাঈদ (১৪)। যাওয়া আসার পথে জুনাঈদকে পিস পিস করে ফেলার হুমকি দেয় মুসার শিশু পুত্র রিয়াদ (১৬)। বিষয়টি দাদুকে জানায় জুনাঈদ। দাদু বাহার মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তিকে নিয়ে মুসার বাড়িতে যান। মুসাকে হুমকির বিষয়টি জানানোর পর আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে রিয়াদ। রিয়াদ চিৎকার করে বলতে থাকে, বলছি কুবামু কুবামু অই। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে জুনাঈদের বৃদ্ধ দাদুকে ধাক্কা মারেন মুসা। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আব্দুর রোপ মিয়ার স্ত্রী রীনা বেগম (৪০)। রীনাকে ঘুষি মারেন মুসা। এতে রীনার ঠোঁট ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। ঠোঁটে বারটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আবারও মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত হন মুছার স্ত্রী মোছা. রিনা আক্তার (৩৯)। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মুছা মিয়া বাদী হয়ে রাতেই সরাইল থানায় একটি মামলা করেন। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে (১টার দিকে) আহত রীনা বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল রীনার শিশু পুত্র রাকিব (১৫ বছর, ৫ মাস, ২৫ দিন)। রাকিবকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শিশু রাকিবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু তাহের শিশু রাকিবকে শুক্রবার গভীররাতে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে বলেন, তাৎক্ষণিক তথ্য নিতে পারিনি। স্বজনদের কাউকে না পাওয়ায় রাকিবের বয়স পরে ১৬ বছর লিখে আদালতে পাঠিয়েছি। আদালত আদেশ দিলে সংশোধনাগারে পাঠাব। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পিফরডি প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহায়ক (ডিএফ) মোছা. খোদেজা বেগম বলেন, জাতীসংঘ শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ১৭ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক মানব সন্তানই শিশু। আইনি পক্রিয়ায় তারতম্য, অধিকার নিশ্চিতকরণসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে শিশুদের জন্য কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমাদের দেশে ১৭ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়স পর্যন্ত শিশু। অপরাধ করলে শিশুকে হ্যান্ডকাপ পড়ানো যাবে না। উপজেলা/ জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে অপরাধী শিশুকে শিশু কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সরাইলে মারধরের মামলায় শিশু গ্রেপ্তার আদালতে প্রেরণ

Update Time : 08:25:06 pm, Sunday, 28 August 2022

মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. রাকিব হোসেন (১৫ বছর, ৫ মাস, ২৫ দিন) নামের এক শিশুকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। রাকিবের জন্ম নিবন্ধন নং-২০০৭১২১৯৪৯০০২৫৮৫২। গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মলাইশ গ্রামে অভিযান করে নিজের বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় আবু ছালেকের ওই শিশু পুত্রকে গ্রেপ্তার করেন সরাইল থানার এস আই মো. জয়নাল। শিশু অপরাধীকে স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিশু কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর বিধান। গতকাল শনিবার মামলার এজহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে শিশু রাকিবের বয়স ১৯ বছর রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ, মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল ছালেক ও মুসা মিয়ার বাড়ি পাশাপাশি। গত শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে জমিতে ধান কাটছিলেন ছালেক। বাবার কাজে সহযোগিতা করছিল শিশু জুনাঈদ (১৪)। যাওয়া আসার পথে জুনাঈদকে পিস পিস করে ফেলার হুমকি দেয় মুসার শিশু পুত্র রিয়াদ (১৬)। বিষয়টি দাদুকে জানায় জুনাঈদ। দাদু বাহার মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তিকে নিয়ে মুসার বাড়িতে যান। মুসাকে হুমকির বিষয়টি জানানোর পর আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে রিয়াদ। রিয়াদ চিৎকার করে বলতে থাকে, বলছি কুবামু কুবামু অই। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে জুনাঈদের বৃদ্ধ দাদুকে ধাক্কা মারেন মুসা। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আব্দুর রোপ মিয়ার স্ত্রী রীনা বেগম (৪০)। রীনাকে ঘুষি মারেন মুসা। এতে রীনার ঠোঁট ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। ঠোঁটে বারটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আবারও মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত হন মুছার স্ত্রী মোছা. রিনা আক্তার (৩৯)। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মুছা মিয়া বাদী হয়ে রাতেই সরাইল থানায় একটি মামলা করেন। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে (১টার দিকে) আহত রীনা বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল রীনার শিশু পুত্র রাকিব (১৫ বছর, ৫ মাস, ২৫ দিন)। রাকিবকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শিশু রাকিবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু তাহের শিশু রাকিবকে শুক্রবার গভীররাতে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে বলেন, তাৎক্ষণিক তথ্য নিতে পারিনি। স্বজনদের কাউকে না পাওয়ায় রাকিবের বয়স পরে ১৬ বছর লিখে আদালতে পাঠিয়েছি। আদালত আদেশ দিলে সংশোধনাগারে পাঠাব। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পিফরডি প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহায়ক (ডিএফ) মোছা. খোদেজা বেগম বলেন, জাতীসংঘ শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ১৭ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক মানব সন্তানই শিশু। আইনি পক্রিয়ায় তারতম্য, অধিকার নিশ্চিতকরণসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে শিশুদের জন্য কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমাদের দেশে ১৭ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়স পর্যন্ত শিশু। অপরাধ করলে শিশুকে হ্যান্ডকাপ পড়ানো যাবে না। উপজেলা/ জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে অপরাধী শিশুকে শিশু কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করতে হবে।