Dhaka ০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

সরাইলে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাতভর জুয়ার মহোৎসব!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১১৭ Time View

সরাইলে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাতভর জুয়ার মহোৎসব!

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাতভর চলছে জুয়ার মহোৎসব। রহস্য করে কেউ কেউ বলছেন পুলিশ প্রহরা বললেও ভুল হবে না। জুয়ার উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করেছেন ২-৩ জন জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজন। উপজেলার পল্লী এলাকা শাহজাদাপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি উৎসবে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মেতেছিল জুয়ার উৎসব। স্থানীয়রা বলছেন টাকা লেনদেন করে উৎসবস্থল থেকে ১৫-২০ গজ দূরেই চলছে জুয়া। আর পুলিশ বলছেন ইউপি সদস্য আজহার মিয়ার ভাই কালা মিয়া জুয়া খেলিয়েছে। জগদীশ ও ইউপি মেম্বারকে সাথে নিয়ে জুয়ারিদের আমরা তাড়িয়েছি। এর আগে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেও ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দেওড়ায় এক ওরসে জুয়ার মহোৎসব ঠেকাতে পারেননি মুতুওয়াল্লি।

সরজমিনে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড নিয়ামপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবের দ্বিতীয় দিন গত মঙ্গলবার রাত ৯টার পর উৎসবস্থলের ১৫-২০ গজ দূরেই শুরূ হয় জুয়া। এ সময় ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত (বিট অফিসার) এস আই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছিলেন। শাহজাদাপুর, শাহবাজপুর ও দেওড়ার কয়েকজন মিলে জুয়া পরিচালনা করছিলেন। তাদেরকে শেল্টার দিচ্ছিলেন ২-৩ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজন। একই সময়ে ৫টি জুয়ার ঘর বসিয়ে দুমছে চলে খেলা। জুয়ার ঘর থেকে এক যুবক চিৎকার করে বলছে, ‘মোটা ধরেন, মোটা নেন’। শিক্ষার্থী ও যুবক শ্রেণির ছেলেরা ঝড়োগাতিতে জুয়ার ঘরের সামনে এসে হাজির। প্রতীক আকাঁ প্লাষ্টিকের কাগজ নীচে রেখে চরকি ঘুরাচ্ছেন। চারিদিক থেকে টাকা পড়ছে প্রতীকের উপর। চরকি থামছে। ২/১ জন পেয়েছেন। পাননি ১০-১২ জন। আবারও পাওয়ার আশায় টাকা ফেলছেন। এভাবেই চলছে জুয়া।

হঠাৎ করে রাত ১১টার দিকে জুয়ার উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা। জুয়া বন্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, জুয়া পরিচালনাকারীরা পুলিশকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে একজন ইউপি সদস্য নাকি ৫ হাজার টাকা রেখে দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় সাময়িক সময় বন্ধ ছিল জুয়া। পরে রাত ১১টা থেকে আজহার মেম্বারের ভাই কালা মিয়া, সামাদসহ শাহাজাদাপুর ও দেওড়ার ২/১ জনের নেতৃত্বে রাতভর চলে জুয়া। সেখানকার মন্দির কমিটির সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, জসিম স্যার রাত পোনে ১টা পর্যন্ত ছিলেন। আমরা কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। যখনই দেখেছি জুয়া খেলছে, তখন জসিম স্যারকে নিয়ে দৌড়ানি দিয়েছি। গভীর রাতে কোথায় কী হয়েছে জানি না। বিট অফিসার এস আই জসিম উদ্দিন বলেন, প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে বন্দে জুয়া খেলা বসিয়েছিল। জগদীশ ও আজহার মেম্বারকে নিয়ে কালা মিয়াসহ অন্যদের তাড়িয়েছি। টাকা লেনদেনের কথাটি মিথ্যা। পরে আর জুয়া বসেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com

সরাইলে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাতভর জুয়ার মহোৎসব!

Update Time : ০৭:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাতভর চলছে জুয়ার মহোৎসব। রহস্য করে কেউ কেউ বলছেন পুলিশ প্রহরা বললেও ভুল হবে না। জুয়ার উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালন করেছেন ২-৩ জন জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজন। উপজেলার পল্লী এলাকা শাহজাদাপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি উৎসবে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মেতেছিল জুয়ার উৎসব। স্থানীয়রা বলছেন টাকা লেনদেন করে উৎসবস্থল থেকে ১৫-২০ গজ দূরেই চলছে জুয়া। আর পুলিশ বলছেন ইউপি সদস্য আজহার মিয়ার ভাই কালা মিয়া জুয়া খেলিয়েছে। জগদীশ ও ইউপি মেম্বারকে সাথে নিয়ে জুয়ারিদের আমরা তাড়িয়েছি। এর আগে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেও ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দেওড়ায় এক ওরসে জুয়ার মহোৎসব ঠেকাতে পারেননি মুতুওয়াল্লি।

সরজমিনে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড নিয়ামপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবের দ্বিতীয় দিন গত মঙ্গলবার রাত ৯টার পর উৎসবস্থলের ১৫-২০ গজ দূরেই শুরূ হয় জুয়া। এ সময় ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত (বিট অফিসার) এস আই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছিলেন। শাহজাদাপুর, শাহবাজপুর ও দেওড়ার কয়েকজন মিলে জুয়া পরিচালনা করছিলেন। তাদেরকে শেল্টার দিচ্ছিলেন ২-৩ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজন। একই সময়ে ৫টি জুয়ার ঘর বসিয়ে দুমছে চলে খেলা। জুয়ার ঘর থেকে এক যুবক চিৎকার করে বলছে, ‘মোটা ধরেন, মোটা নেন’। শিক্ষার্থী ও যুবক শ্রেণির ছেলেরা ঝড়োগাতিতে জুয়ার ঘরের সামনে এসে হাজির। প্রতীক আকাঁ প্লাষ্টিকের কাগজ নীচে রেখে চরকি ঘুরাচ্ছেন। চারিদিক থেকে টাকা পড়ছে প্রতীকের উপর। চরকি থামছে। ২/১ জন পেয়েছেন। পাননি ১০-১২ জন। আবারও পাওয়ার আশায় টাকা ফেলছেন। এভাবেই চলছে জুয়া।

হঠাৎ করে রাত ১১টার দিকে জুয়ার উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা। জুয়া বন্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, জুয়া পরিচালনাকারীরা পুলিশকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে একজন ইউপি সদস্য নাকি ৫ হাজার টাকা রেখে দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় সাময়িক সময় বন্ধ ছিল জুয়া। পরে রাত ১১টা থেকে আজহার মেম্বারের ভাই কালা মিয়া, সামাদসহ শাহাজাদাপুর ও দেওড়ার ২/১ জনের নেতৃত্বে রাতভর চলে জুয়া। সেখানকার মন্দির কমিটির সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, জসিম স্যার রাত পোনে ১টা পর্যন্ত ছিলেন। আমরা কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। যখনই দেখেছি জুয়া খেলছে, তখন জসিম স্যারকে নিয়ে দৌড়ানি দিয়েছি। গভীর রাতে কোথায় কী হয়েছে জানি না। বিট অফিসার এস আই জসিম উদ্দিন বলেন, প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে বন্দে জুয়া খেলা বসিয়েছিল। জগদীশ ও আজহার মেম্বারকে নিয়ে কালা মিয়াসহ অন্যদের তাড়িয়েছি। টাকা লেনদেনের কথাটি মিথ্যা। পরে আর জুয়া বসেনি।