Dhaka ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

মাজেদা বেগমের পিঠার সাথে ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮০ Time View

মাজেদা বেগমের পিঠার সাথে ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
শীত মৌসুমের পিঠার দোকানগুলোতে রীতিমতো মেলা বসে পিঠাপ্রেমিদের। বিশেষ করে সন্ধ্যায় উপচেপড়া ভিড় লাগে দোকানগুলোতে। আর তাই শীত মৌসুমে বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন অনেকেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমও (৫০) এমনই একজন। তার বানানো হরেক স্বাদের পিঠা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষজন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার দোকানে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করেই চলছে মাজেদার সংসার। প্রতিদিন চিতইসহ বিভিন্ন পিঠা তৈরি করেন তিনি। ৮টি চুলায় ১ হাজারেরও বেশি চিতই পিঠা তৈরি হয়। সাধারণ চিতইয়ের পাশাপাশি ডিম ও মসলাসহ স্পেশাল ডিম পিঠাও তৈরি হয় মাজেদার দোকানে। সাধারণ চিতই ১০ টাকা আর ডিম-মশলা দিয়ে বানানো চিতইয়ের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হয় ৩০ টাকা।

পিঠার সঙ্গে ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি দেয়া হয়। ভর্তা বানানোর জন্য ১২-১৩ রকমের শুঁটকি, বিভিন্ন রকমের মাছ, কয়েক রকমের ডাল, বাদাম, ধনেপাতা, মরিচ ও মৌসুমি সবজি ব্যবহার করা হয়। পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ থেকে পিঠা খেতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মাজেদা আপার পিঠার সঙ্গে শত পদের ভর্তা দেয়ার কথা জানতে পারি। তাই এসেছি পিঠা খাওয়ার জন্য। আমাদের এলাকায় চিতই পিঠা পাওয়া গেলেও শত পদের ভর্তা পাওয়া যায়না।

নরসিংদী থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে এখানে পিঠা খেতে এসেছি। চিতই পিঠা দিয়ে টাটকা ভর্তার স্বাদ বেশ ভালই লেগেছে।

মাজেদা বেগমের স্বামী মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমার পাঁচ মেয়ে, নয় বছর যাবত পিঠা বানানোর ব্যবসা করে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, তিন মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। আমাদের সংসার ভালই চলছে। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আমাদের দোকানে আসছে পিঠা খেতে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের।

মাজেদা বেগম বলেন, প্রথমে ৫০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে পিঠার ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন দোকানে বেচাকেনা ভালো। শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। তাই সেদিন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ চালের পিঠা বিক্রি হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com

মাজেদা বেগমের পিঠার সাথে ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি

Update Time : ০৯:২০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
শীত মৌসুমের পিঠার দোকানগুলোতে রীতিমতো মেলা বসে পিঠাপ্রেমিদের। বিশেষ করে সন্ধ্যায় উপচেপড়া ভিড় লাগে দোকানগুলোতে। আর তাই শীত মৌসুমে বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন অনেকেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমও (৫০) এমনই একজন। তার বানানো হরেক স্বাদের পিঠা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষজন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার দোকানে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করেই চলছে মাজেদার সংসার। প্রতিদিন চিতইসহ বিভিন্ন পিঠা তৈরি করেন তিনি। ৮টি চুলায় ১ হাজারেরও বেশি চিতই পিঠা তৈরি হয়। সাধারণ চিতইয়ের পাশাপাশি ডিম ও মসলাসহ স্পেশাল ডিম পিঠাও তৈরি হয় মাজেদার দোকানে। সাধারণ চিতই ১০ টাকা আর ডিম-মশলা দিয়ে বানানো চিতইয়ের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হয় ৩০ টাকা।

পিঠার সঙ্গে ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি দেয়া হয়। ভর্তা বানানোর জন্য ১২-১৩ রকমের শুঁটকি, বিভিন্ন রকমের মাছ, কয়েক রকমের ডাল, বাদাম, ধনেপাতা, মরিচ ও মৌসুমি সবজি ব্যবহার করা হয়। পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ থেকে পিঠা খেতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মাজেদা আপার পিঠার সঙ্গে শত পদের ভর্তা দেয়ার কথা জানতে পারি। তাই এসেছি পিঠা খাওয়ার জন্য। আমাদের এলাকায় চিতই পিঠা পাওয়া গেলেও শত পদের ভর্তা পাওয়া যায়না।

নরসিংদী থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, আমরা পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে এখানে পিঠা খেতে এসেছি। চিতই পিঠা দিয়ে টাটকা ভর্তার স্বাদ বেশ ভালই লেগেছে।

মাজেদা বেগমের স্বামী মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমার পাঁচ মেয়ে, নয় বছর যাবত পিঠা বানানোর ব্যবসা করে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, তিন মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। আমাদের সংসার ভালই চলছে। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আমাদের দোকানে আসছে পিঠা খেতে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের।

মাজেদা বেগম বলেন, প্রথমে ৫০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে পিঠার ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন দোকানে বেচাকেনা ভালো। শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। তাই সেদিন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ চালের পিঠা বিক্রি হয়।