Dhaka ১১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

গণশৌচাগার দখল করে দোকান দিলেন পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ১৫৩ Time View

গণশৌচাগারের (টয়লেট) সামনে দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আমিনপুরে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ ওই দোকানে কনফেকশনারি চালু করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে আমিনপুর গ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের জায়গায় সমন্বয় করে পৌরসভা একটি গণশৌচাগার তৈরি করে। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণশৌচাগারটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এর কয়েক বছর পর গণশৌচাগারটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। গত পৌর নির্বাচনে ৭নং কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করেন ফারুক মিয়া। গণশৌচাগারের ঠিক পাশে জেলা পরিষদের মার্কেটে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার নিজস্ব কার্যালয়। ফারুক মিয়া জয়লাভ করার পর তার নিজ গ্রামের কোরবান মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পৌরসভার মালিকানাধীন গণশৌচাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোরবান মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি গণশৌচাগারটি কিছুটা সংস্কার করা হয়। কিন্তু ইজারাদার গণশৌচাগারটির আকৃতি বদল করেন। এসময় গণশৌচাগারের সামনে তাকে একটি দোকান তৈরি করার নির্দেশ দেন কাউন্সিলর ফারুক মিয়া। জেলা পরিষদের মালিকাধীন জায়গায় কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্থায়ীভাবে একটি দোকান তৈরি করা হয়। দোকানটি মাসিক ১৫০০/-টাকার মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় গণশৌচাগারের ইজারাদার কোরবান মিয়ার কাছে। এই বিষয়ে কোরবান মিয়া বলেন, আমার কাছে গণশৌচাগারটি হস্তান্তর করার পর তা সংস্কার করেছি। আগে অনেক অপরিষ্কার ছিল। সংস্কার করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আর এই দোকানটি কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়ের নির্দেশে আমি তৈরি করেছি। দোকানটির কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়েরই। তবে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া বলেন, ‘কোরবান মিয়ার কথা সঠিক নয়। সে বসতে পারে না বলে দোকান তৈরি করেছে।’এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না, তবে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রজব আলী বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমিনপুরের এই দোকান নির্মাণ করা জায়গাটি কাউকে জেলা পরিষদ লিজ দেয়নি। তাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এ বিষয়ে জড়িতদের চিঠি দেওয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় গণশৌচাগারটি তৈরি করা আছে। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন থাকায় পরিষ্কার করতে বলেছি। আমরা কাউকে দোকান নির্মাণ করতে বলিনি।

এনই আকন্ঞ্জি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন

Ev depolama Ucuz nakliyat teensexonline.com
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

গণশৌচাগার দখল করে দোকান দিলেন পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর

Update Time : ০৭:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

গণশৌচাগারের (টয়লেট) সামনে দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আমিনপুরে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ ওই দোকানে কনফেকশনারি চালু করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে আমিনপুর গ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের জায়গায় সমন্বয় করে পৌরসভা একটি গণশৌচাগার তৈরি করে। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণশৌচাগারটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এর কয়েক বছর পর গণশৌচাগারটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। গত পৌর নির্বাচনে ৭নং কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করেন ফারুক মিয়া। গণশৌচাগারের ঠিক পাশে জেলা পরিষদের মার্কেটে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার নিজস্ব কার্যালয়। ফারুক মিয়া জয়লাভ করার পর তার নিজ গ্রামের কোরবান মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পৌরসভার মালিকানাধীন গণশৌচাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোরবান মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি গণশৌচাগারটি কিছুটা সংস্কার করা হয়। কিন্তু ইজারাদার গণশৌচাগারটির আকৃতি বদল করেন। এসময় গণশৌচাগারের সামনে তাকে একটি দোকান তৈরি করার নির্দেশ দেন কাউন্সিলর ফারুক মিয়া। জেলা পরিষদের মালিকাধীন জায়গায় কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্থায়ীভাবে একটি দোকান তৈরি করা হয়। দোকানটি মাসিক ১৫০০/-টাকার মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় গণশৌচাগারের ইজারাদার কোরবান মিয়ার কাছে। এই বিষয়ে কোরবান মিয়া বলেন, আমার কাছে গণশৌচাগারটি হস্তান্তর করার পর তা সংস্কার করেছি। আগে অনেক অপরিষ্কার ছিল। সংস্কার করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আর এই দোকানটি কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়ের নির্দেশে আমি তৈরি করেছি। দোকানটির কাউন্সিলর ফারুক ভাইয়েরই। তবে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া বলেন, ‘কোরবান মিয়ার কথা সঠিক নয়। সে বসতে পারে না বলে দোকান তৈরি করেছে।’এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না, তবে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রজব আলী বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমিনপুরের এই দোকান নির্মাণ করা জায়গাটি কাউকে জেলা পরিষদ লিজ দেয়নি। তাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এ বিষয়ে জড়িতদের চিঠি দেওয়া হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় গণশৌচাগারটি তৈরি করা আছে। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন থাকায় পরিষ্কার করতে বলেছি। আমরা কাউকে দোকান নির্মাণ করতে বলিনি।

এনই আকন্ঞ্জি