মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৭ সন্তানের জনক বৃদ্ধ সমাজ আলী (৬০) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ রোববার গভীর রাতে উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে নিজের বসতঘরের তীরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রয়াত শমসের আলীর ছেলে সমাজ আলীর মূল বাড়ি ধামাউড়া গ্রামে। ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক সমাজ আলী ৫-৭ বছর আগে জায়গা ক্রয় করে শোলাকান্দি (উত্তর পাড়া) গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করছেন। ৩ ছেলেই প্রবাসী। মেয়েদেরকেও বিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে নতুন ঘর করায় এখন ২টি ঘর রয়েছে। সমাজ আলী ও তার স্ত্রী জোৎস্না বেগম (৫৫) পুরাতন ঘরটিতেই থাকতেন। অন্যান্য দিনের মত গত সোমবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাত ৯টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার রাত ১২টা ৩০ মিনিটে প্রকৃতির ডাকে সাড়া বের হন সমাজ আলী। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আর ঘরে ফিরছেন না। চিন্তিত হয়ে পড়েন স্ত্রী জোস্না। ঘর থেকে বেরিয়ে স্বামীকে খুঁজতে থাকেন। কোথাও সন্ধান পাননি। সবশেষে রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে নতুন ঘরে প্রবেশ করেন। ওই ঘরে দেখতে পান রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তীরের সাথে ঝুলছে সমাজ আলীর লাশ। মুঠোফোনে সকল স্বজনকে জানায়। সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা সমাজ আলীর লাশটি উদ্ধার করেন। থানাকে বিষয়টি লিখিত জানিয়েছেন সমাজ আলীর চাচাত ভাই আক্তার মিয়া। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, ছেলেরা বিদেশ। ৪ মেয়ের সবাই স্বামীর বাড়িতে। তারপরও কেন বৃদ্ধ সমাজ আলী আত্মহত্যার পথ বেচে নিল? পেছনে কোন রহস্য আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে সমাজ আলীর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।