Dhaka 1:57 pm, Friday, 4 October 2024
News Title :
নারী ও যুব অধিকার অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারীদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন সরাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে চার ইটভাটা প্রাইম বাংলা নিউজ: জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল লিখিত চুক্তি করেও ধার নেয়া টাকা নেয়নি মর্মে অস্বীকার, সরাইলে ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা দায়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

সরাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে শত্রুতা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা: প্রতিবাদে অভিভাবক সমাবেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:04:21 pm, Monday, 14 March 2022
  • 670 Time View

সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকায় গড়ে ওঠেছে ‘উত্তর কালীকচ্ছ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ‘সুহৃদ’ নামের একটি সংগঠনই এটির প্রতিষ্ঠাতা। গত কয়েক দিন ধরে কে বা কাহারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাথে শুরূ করেছে শত্রুতা। গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের পার্ক ভাংচুর করছে। কাটছে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনার গাছ। ভেঙ্গে চুরমার করছে সিকিউরিটি বাল্ব গুলো। এমন সব কান্ডে এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরীর ৯ দিন পরও আরো বেপরোয় হয়ে ওঠেছে দূর্বৃত্তরা। অব্যাহত আছে ভাংচুর। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে শতাধিক অভিভাবকের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাবেশ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। শিক্ষক মো. কামরূল ইসলামের সঞ্চালনায় হাজী আমির আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন-সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ওই বিদ্যালয়ের রেক্টর ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সুহৃদ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ইউপি সদস্য ছায়েদ মিয়া, ছায়েদুর রহমান, মহিলা ইউপি সদস্য জায়েদা বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আতিকুর রহমান, অভিভাবক রত্না বেগম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, সকলের মতামত ও অংশ গ্রহনের মাধ্যমেই ১০ গ্রামের ছেলে মেয়েকে সুশিক্ষিত করতেই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন সুহৃদ সোসাইটির শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। শুরূতেই ২৮৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরূ করেন। ভালই চলছিল। স্কুল মাঠের এক পাশে লক্ষাধিক টাকা খরচ শিক্ষার্থীর বিনোদনের জন্য তৈরী করা বিচিত্র ধরণের একটি পার্ক। চারিদিকে শিক্ষার্থীদের দ্বারা রোপন করা হয় বনজ ফলজ গাছের ছারা। গাছ গুলি বড় হয়ে উপরের দিকে ওঠছে। ঠিক সেই সময়ে শুরূ হয়ে গেছে স্কুলটির সাথে শত্রুতা। গত ৫ মার্চ গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা প্রথম হামলা করে পার্কে। সেখানে মাটি ও সিমেন্টের তৈরী ঘোড়া, বাঘ, হরিণ ও জিরাপ গুলো ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। ৭ মার্চ প্রধান শিক্ষক থানায় জিডি করেন। আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে দূর্বৃত্তরা। প্রতিরাতেই গাছ কাটে ও ভেঙ্গে দেয়। সিকিউরিটি বাল্ব সহ আশপাশের বাল্ব গুলো ভাংতে থাকে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় সকল শ্রেণি পেশার লোকজন মিলে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। কতিপয় দুস্কৃতকারীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনে সংগ্রাম করব। শান্তিপূর্ণ পক্রিয়ায় সমাধান না হলে আইনি পক্রিয়ায় অবশ্যই অপরাধীদের সনাক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

নারী ও যুব অধিকার অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারীদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে শত্রুতা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা: প্রতিবাদে অভিভাবক সমাবেশ

Update Time : 08:04:21 pm, Monday, 14 March 2022

সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকায় গড়ে ওঠেছে ‘উত্তর কালীকচ্ছ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ‘সুহৃদ’ নামের একটি সংগঠনই এটির প্রতিষ্ঠাতা। গত কয়েক দিন ধরে কে বা কাহারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাথে শুরূ করেছে শত্রুতা। গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের পার্ক ভাংচুর করছে। কাটছে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনার গাছ। ভেঙ্গে চুরমার করছে সিকিউরিটি বাল্ব গুলো। এমন সব কান্ডে এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরীর ৯ দিন পরও আরো বেপরোয় হয়ে ওঠেছে দূর্বৃত্তরা। অব্যাহত আছে ভাংচুর। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে শতাধিক অভিভাবকের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাবেশ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। শিক্ষক মো. কামরূল ইসলামের সঞ্চালনায় হাজী আমির আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন-সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ওই বিদ্যালয়ের রেক্টর ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সুহৃদ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ইউপি সদস্য ছায়েদ মিয়া, ছায়েদুর রহমান, মহিলা ইউপি সদস্য জায়েদা বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আতিকুর রহমান, অভিভাবক রত্না বেগম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, সকলের মতামত ও অংশ গ্রহনের মাধ্যমেই ১০ গ্রামের ছেলে মেয়েকে সুশিক্ষিত করতেই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন সুহৃদ সোসাইটির শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। শুরূতেই ২৮৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরূ করেন। ভালই চলছিল। স্কুল মাঠের এক পাশে লক্ষাধিক টাকা খরচ শিক্ষার্থীর বিনোদনের জন্য তৈরী করা বিচিত্র ধরণের একটি পার্ক। চারিদিকে শিক্ষার্থীদের দ্বারা রোপন করা হয় বনজ ফলজ গাছের ছারা। গাছ গুলি বড় হয়ে উপরের দিকে ওঠছে। ঠিক সেই সময়ে শুরূ হয়ে গেছে স্কুলটির সাথে শত্রুতা। গত ৫ মার্চ গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা প্রথম হামলা করে পার্কে। সেখানে মাটি ও সিমেন্টের তৈরী ঘোড়া, বাঘ, হরিণ ও জিরাপ গুলো ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। ৭ মার্চ প্রধান শিক্ষক থানায় জিডি করেন। আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে দূর্বৃত্তরা। প্রতিরাতেই গাছ কাটে ও ভেঙ্গে দেয়। সিকিউরিটি বাল্ব সহ আশপাশের বাল্ব গুলো ভাংতে থাকে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় সকল শ্রেণি পেশার লোকজন মিলে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। কতিপয় দুস্কৃতকারীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনে সংগ্রাম করব। শান্তিপূর্ণ পক্রিয়ায় সমাধান না হলে আইনি পক্রিয়ায় অবশ্যই অপরাধীদের সনাক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

মাহবুব খান বাবুল