সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকায় গড়ে ওঠেছে ‘উত্তর কালীকচ্ছ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ‘সুহৃদ’ নামের একটি সংগঠনই এটির প্রতিষ্ঠাতা। গত কয়েক দিন ধরে কে বা কাহারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাথে শুরূ করেছে শত্রুতা। গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের পার্ক ভাংচুর করছে। কাটছে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনার গাছ। ভেঙ্গে চুরমার করছে সিকিউরিটি বাল্ব গুলো। এমন সব কান্ডে এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরীর ৯ দিন পরও আরো বেপরোয় হয়ে ওঠেছে দূর্বৃত্তরা। অব্যাহত আছে ভাংচুর। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে শতাধিক অভিভাবকের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাবেশ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। শিক্ষক মো. কামরূল ইসলামের সঞ্চালনায় হাজী আমির আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন।
বক্তব্য রাখেন-সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ওই বিদ্যালয়ের রেক্টর ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সুহৃদ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, ইউপি সদস্য ছায়েদ মিয়া, ছায়েদুর রহমান, মহিলা ইউপি সদস্য জায়েদা বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আতিকুর রহমান, অভিভাবক রত্না বেগম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, সকলের মতামত ও অংশ গ্রহনের মাধ্যমেই ১০ গ্রামের ছেলে মেয়েকে সুশিক্ষিত করতেই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন সুহৃদ সোসাইটির শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। শুরূতেই ২৮৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরূ করেন। ভালই চলছিল। স্কুল মাঠের এক পাশে লক্ষাধিক টাকা খরচ শিক্ষার্থীর বিনোদনের জন্য তৈরী করা বিচিত্র ধরণের একটি পার্ক। চারিদিকে শিক্ষার্থীদের দ্বারা রোপন করা হয় বনজ ফলজ গাছের ছারা। গাছ গুলি বড় হয়ে উপরের দিকে ওঠছে। ঠিক সেই সময়ে শুরূ হয়ে গেছে স্কুলটির সাথে শত্রুতা। গত ৫ মার্চ গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা প্রথম হামলা করে পার্কে। সেখানে মাটি ও সিমেন্টের তৈরী ঘোড়া, বাঘ, হরিণ ও জিরাপ গুলো ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। ৭ মার্চ প্রধান শিক্ষক থানায় জিডি করেন। আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে দূর্বৃত্তরা। প্রতিরাতেই গাছ কাটে ও ভেঙ্গে দেয়। সিকিউরিটি বাল্ব সহ আশপাশের বাল্ব গুলো ভাংতে থাকে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় সকল শ্রেণি পেশার লোকজন মিলে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। কতিপয় দুস্কৃতকারীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনে সংগ্রাম করব। শান্তিপূর্ণ পক্রিয়ায় সমাধান না হলে আইনি পক্রিয়ায় অবশ্যই অপরাধীদের সনাক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
মাহবুব খান বাবুল