সরাইলে উদীচীর গোল টেবিল বৈঠক সম্মাননা পেলেন সঞ্জীব কুমার
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ ৭২ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচী সরাইল উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গোল টেবিল বৈঠক। বৈঠকে রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও কলামিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা হয়েছে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ইভটিজিং মাদক ও বাল্যবিয়ে সহ বিভিন্ন গুরূত্বপূর্ণ বিষয়ে। ওই অনুষ্ঠানে সরাইলের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আলোকিত ব্যক্তিত্ব ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অবৈতনিক অধ্যক্ষ, গবেষক ও একাধিক বইয়ের লেখক সঞ্জীব কুমার দেবনাথকে সম্মাননা স্বারক (ক্রেষ্ট) প্রদান করেছেন উদীচী। ভবিষ্যতে স্থানীয় আরো গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করার প্রতিশ্রূতি দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সংগঠনের সম্পাদক মো. সুমন পারভেজের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. মোজাম্মেল পাঠানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। বক্তব্য রাখেন- সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আ’লীগ নেতা এড. আব্দুর রাশেদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এড. কামরূজ্জামান আনসারী, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য আ’লীগ নেতা এড. সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, উদীচী জেলা শাখার সভাপতি মো. জহিরূল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সমাজসেবক ও কলামিষ্ট মো. ফজলুল হক মৃধা, অরূয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাকিম, আ’লীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় ও উদীচীর সদস্য শিক্ষক দেওয়ান রওশন আরা লাকী প্রমূখ। বক্তারা দীর্ঘদিন পর সরাইলে এমন একটি গুরূত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজক স্থানীয় উদীচীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা লালনকারী সংগঠনের নাম উদীচী। তারা নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মৌলবাদের বিরূদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তারা বারবার জঙ্গিবাদের উগ্র হামলার শিকার হয়েছে। রক্তাক্ত শরীরেও কখনো মাথা নত করে পিছু হটেনি উদীচী। কিন’ দু:খজনক বিষয় হলো বর্তমানে কোথাও পালা ও জারি গানের আয়োজন করলে ১০-১৫ দিন আগে ডিসি এসপি মহোদয়দের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হয়। কোন দিকে যাচ্ছে এই দেশের সংস্কৃতি? ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার সাহিত্য সংস্কৃতির টুটি ছিপে ধরছে। শান্তি ও মুক্তির বিশ্ব গড়তে হলে পরবর্তী প্রজন্মকে আরো উদ্ভূদ্ধ করতে হবে। সামাজিকতা, মানবিকতা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন বা যুদ্ধ করতে হবে। অতীত বলে এই কাজ গুলি উদীচী ভাল পারেন। উদীচীর এমন আয়োজন অব্যাহত থাকলে স্থানীয় গুণীরা সম্মান পাবে। সরাইল আরো সমৃদ্ধ হবে। প্রসঙ্গত: উদীচীর গতকালের বৈঠক চলাকালে রঞ্জীত কুমার দেবনাথ ও আলমাসের নেতৃত্বে ত্রিতালের সকল শিক্ষার্থী শিল্পীরা আঞ্চলিক আর দেশাত্ববোধক গান গেয়ে প্রাণবন্ত করে রেখেছে অনুষ্ঠানকে।