সরাইলের চুন্টা ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠেছে আওয়ামীলীগের একাংশের নেতা কর্মীরা। দলের জন্য নিবেদিত ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে ভাই লীগকে গুরূত্ব দিয়ে অসুস্থ্য আওয়ামী বিরূধী লোকদের দেয়া হচ্ছে পদ পদবি। এরই প্রতিবাদে আজ রোববার সকালে সরাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সেখানকার আ’লীগের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন থেকে বক্তব্য রাখেন- আ’লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহিম, ওহাব মিয়া ও ইন্দ্রজিৎ দেব। বক্তারা বলেন, রাজাকারের স্বজনদের হাতে বন্দি এখন চুন্টা আওয়ামীলীগ। সাথে রয়েছে অল্প বয়সের হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত জনৈক নেতা। চলছে টাকার খেলাও। এখানে রয়েছে সরকারি চাকরিজীবি কাম ইউপি আ’লীগের বড় পদের নেতা। লোক দেখানো সম্মেলনের নামে উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য চুন্টার বাসিন্ধা জনৈক নেতার ইশারায় হচ্ছে সবকিছু। ওই নেতার পছন্দের দুই ব্যক্তিকে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সম্পাদক বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনে যা ইচ্ছে তাই করছেন। একজন আওয়ামী বিদ্রোহী। আরেক জন সরকারি চাকরীজীবি। বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম ওই ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। স্কুল খোলার দিনও তিনি ছুটছেন কমিটি করার সভায়। তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে ৩ জনের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে ৯টি ওয়ার্ড কমিটির করেছেন। প্রত্যেক কমিটির দায়িত্বশীল পদে রয়েছে আওয়ামী বিরোধী লোকজন। যারা জীবনে কোন দিন আ’লীগ করেননি। আমরা এহেন অগণতান্ত্রিক কাজের প্রতি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা ৯টি ওয়ার্ডেই পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকজন দিয়ে কমিটি গঠনের জোর দাবী জানাচ্ছি। শিক্ষক আবুল কালাম রাজনৈতিক দলের পদে থাকা ও সম্মেলন করে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের পক্রিয়া শেষ করার কথা স্বীকার করে বলেন, সরকারি চাকরি রাজনৈতিক দলের পদে থাকা যাবে কিনা আমার জানা নেই। তবে উপজেলা ও জেলার নেতারা দায়িত্ব দিয়েছেন কাজ করছি। আগামী সম্মেলন পর্যন্ত আছি। এরপর কি হয় দেখা যাক। টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। ত্যাগী লোকদের পদ দিচ্ছি।
মাহবুব খান বাবুল