মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি ছাড়াই চলছে পুকুর ভরাট। উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে দেওবাড়িয়া নামক পুকুরটি ভরাট করছে নজরূল ইসলাম ও কবির গংরা। গত সোমবার বাধাঁ দিয়ে পুকুরটির ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা কায়েস খান। পুকুরটির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজেও হেরফেরের বিষয়টি চাউর হচ্ছে গোটা ইউনিয়নে। সরজমিনে ও স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্র জানায়, শাহবাজপুর-শাহজাদাপুর সড়কের পাশে দেওড়া ও মলাইশের মাঝামাঝি স্থানে পুকুরটির অবস্থান। পুকুরটির সৃষ্টি থেকেই মাছ চাষ করা হতো। ভরাট করে প্লট আকারে অধিক মূল্যে বিক্রি করে দেওয়ার ফন্দি আটেন নজরূল গংরা। গত এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপের সাহায্যে বালু আসছে পুকুরে। রহস্যজনক কারণে রাতের বেলাই চলছে ভরাটের কাজ। ২১৩ দাগের এই পুকুরের সিএস অনুসারে মলাইশ গ্রামের যুগলের বাড়ির ভারত ভৌমিকের অংশ রয়েছে। ভারত ভৌমিকের উত্তরাধীকারিরা ভরাটের কাজে বাধাঁও দিয়েছেন। সিএস-এ রয়েছে দেওড়া পাঠান বাড়ির একাধিক ব্যক্তির (বর্তমানে প্রয়াত) নাম। তাদেরও রয়েছে অনেক উত্তরাধিকারী। কাউকে না জানিয়েই নজরূল গংরা পুকুর ভরাট করছেন। স্থানীয় ভূমি অফিসের উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. কায়েস খান বলেন, এ ভাবে মনগড়ামত পুকুর ভরাট করা বেআইনি। তাই ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এদের বিরূদ্ধে মামলা হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, নিজেদের ইচ্ছেমত এভাবে পুকুর ভরাট করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা নেই। খুঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।