সরকারি অনুদান আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

- আপডেট সময় : ১০:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে সম্প্রতি রুপসদী সুজন স্মৃতি কলেজে এক বিতর্কিত ঘটনা সামনে এসেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি ইউনুস এর বিরুদ্ধে, সরকারের দেওয়া কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ইউনুস আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূমি মালিকদের সম্মতি না নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে জমিতে গর্ত খুঁড়ে কলেজের কাজে লাগিয়ে সরকারি অনুদান আত্নসাত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামী ইউনুস তার সহযোগী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে পর-সম্পত্তি জবর দখল করে থাকে। আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অপর অভিযুক্ত আসামী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল তার কার্যকাল ৪/১১/২০১৮ইং সাল হতে ২০/১২/২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত, বাদীনি সেলিনা আক্তারের ভূমির পার্শ্বেই রূপসদী সুজন স্মৃতি কলেজ। উক্ত কলেজের জায়গায় মাটি ভরাট করার জন্য সরকারি টাকা মঞ্জুর হয়। রূপসদী মৌজার ৪৫২ দাগের ১৯ শতক, ৪৯৪ দাগের ৩ শতক এবং ৪৯৭ দাগের ১২ শতক একুনে ৩৪ শতকের আন্দরে ১৭ শতক বাদীনীর স্বামী মালিক থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। বাদীনি এবং বাদীনির সন্তানরা উক্ত ভূমির মালিক ও ভোগ দখলদার হয়।
আসামীরা ঘটনার ১ম তারিখ হতে ঘটনার শেষ তারিখ পর্যন্ত ড্রেজার দিয়ে বাদীনির জায়গা থেকে বাদীনিকে না জানিয়ে মাটি কাটে কলেজের জায়গা ভরাট করে। বাদীনি বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডলকে লিখিত ভাবে অবগত করলে উক্ত বিষয়ে কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। সরকারি অর্থে মাটি ভরাট না করে বাদীনির ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হতে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে কলেজের জায়গা ভরাট করে। উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আসামী ইউনুস ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন। উক্ত কলেজের মাটি ভরাট করার জন্য তিন লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান মঞ্জুর হয়।
আসামীরা ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীনি থানায় মামলা করতে পারে নাই। বাদীনি সেলিনা আক্তার তৎকালীন জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদীনিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আসামীদের নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামীরা নানা তালবাহানা করে বাদীনির ক্ষতিপূরনের টাকা দেয় নাই। পরে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হইলে বাদীনি ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনুস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদীনী আমার ভাইয়ের স্ত্রী, আমার বাতিজা কলেজ কমিটির মেম্বারশিপ নিয়ে আমার সাথে ষড়যন্ত্র করছে। কলেজের জন্য যে মাটি কাটা হয়েছে তা আমার নিজস্ব জায়গা থেকে কাটা হয়েছে। তাদের সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।