আগামী ১৪ ফেব্রূয়ারি ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ পালন প্রসঙ্গে সরাইল হাটখোলা শাহী জামে মসজিদের (বিকাল বাজার) পেশ ইমাম মাওলানা শেখ মো. আমান উল্লাহ বলেছেন, ‘ভালবাসা নয় এটা বেহায়াপনা ও যৌনাচার দিবস।’ আজ শুক্রবার খুৎবা পাঠ পূর্ব আলোচনায় উপরোল্লেখিত মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন আল্লাহ ভালবাসতে বলেছেন আল্লাহকে ও তাঁর হাবিবকে। এরপর ভালবাসতে বলেছেন মা বাবাকে, ওস্তাদকে, স্বামী স্ত্রীকে ও সন্তানকে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক কোন কিছুই বাদ দেননি। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যা কিছু দরকার। সব কিছুর ফায়সালা রয়েছে কোরআনে। তাই আল্লাহ বলেছেন তোমরা কোরআনকে ধর। কোরআনকে মান, মহব্বত কর। মুত্তাকি হও। আমি (আল্লাহ) তোমাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান বানাব। ওই কোরআনের কোথাও ভালবাসা দিবসের নামে বেহায়াপনার কথা নেই। আমাদের এলেমের স্বল্পতার জন্য আমরা হয়ত তা জানি না। জানার চেষ্টাও করি না। বিজ্ঞ আলেম ও মুহাদ্দিসগণ তা জানেন। আজকে ভালবানা দিবসের নাম করে অবৈধভাবে একটা মেয়েকে ফুল দিবে, ভাল বাসবে। এটা হতে পারে না। এটাই বেহায়াপনা। এটা যৌনাচার। আসুন আমরা ভালবাসা দিবসের নামে এমন বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা, নির্লজ্জাপনা ও অসভ্যপনাকে ঘৃণা জানাই। নিন্দা জানাই। তিনি বলেন সত্যিকারের ইমানি শক্তির পরিচয় দিয়েছে ভারতের মুসলমান কিশোরী শিক্ষার্থী মুসকান। হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের বাঁধা উপেক্ষা করে মুসকান একাই ‘আল্রাহু আকবার’ ধ্বনিতে সকলকে থমকে দিয়েছেন। মৃত্যুর ভয় করেনি মুসকান। কাঁপিয়ে দিয়েছেন সারা পৃথিবীকে। মুসকান বুঝিয়ে দিয়েছে আল্লাহই সর্ব শক্তিমান। দুনিয়াতে মুসলমান আছে। ইমান আছে। মুসকান থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন মুসল্লিদের উদ্যেশ্যে বলেছেন, মুসকানকে যারা হিজাব পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে বাঁধা দিয়েছিল তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বি। মুসকান একটি ধ্বনির মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবী বাসীকে তার ইমানি শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ধৈর্য্য ধারণ করব। আমরা ভিন্ন ধর্মবিলম্বিদের ধর্ম পালনে অসহযোগিতা নয়। সহযোগিতা করব। কোথায় কি ঘটেছে সেটা ভুলে যাব। কারণ আমাদের প্রিয় নবী (স.) বলেছেন, “অন্য ধর্মের কাউকে কষ্ট দিলে আঘাত করলে আমি তোমাদের নামে আল্লাহর আদালতে মামলা করব।”
মাহবুব খান বাবুল