টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইউপিজি’র অগ্রণী ভূমিকা ২০২৫-এ

- আপডেট সময় : ০২:৫৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন *ইউনাইটেড পিপলস গ্লোবাল (ইউপিজি)* বিশ্বব্যাপী তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের এক নতুন যাত্রা শুরু করেছে। ২০২৫ সালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সামাজিক সমতা উন্নয়নে তার অবদান অতুলনীয়। *ইউপিজি সাস্টেইনেবিলিটি লিডারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৫* এর মাধ্যমে তরুণদের নেতৃত্ব দক্ষতা বিকাশ এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ইউপিজি’র প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি *ইয়েমি ব্যাবিঙ্গটন-অশায়ে* এই সংগঠনকে তরুণদের সামাজিক পরিবর্তনের কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিচালনা করছেন। ১৪০টির বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে, ইউপিজি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় সামাজিক প্রকল্প চালায়। ২০২৫ সালের প্রতিযোগিতামূলক সেশনে ১৩,০০০-এর বেশি তরুণ আবেদন করেন, যারা ভিডিও প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেশন ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ থেকে *শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (SUST) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রুহিল মাদিনী মিম* এই প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি সিনিয়র *হাবিবুর রহমান মাসরুর*’র পরামর্শে ইউপিজি’র সঙ্গে যুক্ত হন। রুহিল বলেন, “রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞানের পড়াশোনা আমাকে ইউপিজি’র লক্ষ্যে প্রেরণা দেয়। আমি আমার সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছি।”
ইতোমধ্যে রুহিল সিলেট বিভাগের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে সচেতনতামূলক মিনি ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করেছেন। তিনি জানান, “এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি সাধারণ মানুষের মধ্যে টেকসই নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছি এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছি। এখন পর্যন্ত আমি চারটি মিনি ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করেছি, যেখানে শতাধিক মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছেন।”
রুহিল মনে করেন, ইউপিজি একটি বৈশ্বিক পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, “ইউপিজি’তে যোগ দিতে আগ্রহী যে কেউ www.upglobe.org ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে টেকসই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমার সেশনগুলোতে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ নিয়ে প্রাথমিক ধারণা শেয়ার করছি, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ছোট ছোট উদ্যোগই একদিন বড় পরিবর্তনের ভিত্তি তৈরি করে। ইউপিজি আমাকে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, প্ল্যাটফর্ম ও আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।”
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য ইউপিজি একটি বড় সুযোগ। রুহিলের মতো উদ্যোগী নেতারা প্রমাণ করছেন— সঠিক প্ল্যাটফর্ম ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে বিশ্ব পরিবর্তন করা সম্ভব। ইউপিজি’র এই উদ্যোগ ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ একটি টেকসই ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করছে।