Dhaka 10:01 am, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

জুমআর দিনে সরাইল সদর সোয়া ১ ঘন্টা অন্ধকারে ভ্যাঁসপা গরমে মুসল্লিদের ছটফট

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:53:37 pm, Friday, 15 July 2022
  • 144 Time View

গত ৪-৫ দিনের প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ট জনজীবন। বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যানের বাতাসও তাপদাহে ভূমিকা রাখতে পারছে না। এই অবস্থায় আজ শুক্রবার জুমআ’র নামাজের সময় সরাইল সদর ছিল সোয়া ১ ঘন্টা অন্ধকারে। দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে চলে যায় বিদ্যুৎ। আসে নামাজ শেষ হওয়ার পর ১টা ৪২ মিনিটে। কারণ জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ ও উপসহকারি প্রকৌশলী সুমন হোসেন সরদার। সরজমিনে স্থানীয় লোকজন ও মুসল্লিরা জানায়, বর্তমানে প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৈদ্যুতিক ফ্যানের বাতাসেও গরম সামাল দেয়া যাচ্ছে না। চারিদিকে মানুষের হ্যাঁ হুতাশ। আজ ছিল শুক্রবার। এ দিনকার জুমআর নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ ও ফজিলতের। এখানকার সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যখন গোসল ওজু করে নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখনই চমক দেখান সরাইল পিডিবি। দুপুর ১২ টা ২৭ মিনিটে চলে যায় বিদ্যুৎ। মুসল্লিরা মসজিদে আসছেন। কিন্তু মসজিদের বৈদ্যুতিক সিলিংফ্যান ঘুরছে না। আশায় আশায় ঘড়ির কাটায় দুপুর ১টা। ইমাম সাহেবের পড়নের সকল জামা কাপড় ঘামে ভিজে গেছে। তারপরও চলছে বয়ান। শেষ হয়েছে খুৎবাও। সকল মুসল্লি ভ্যাঁসপা গরমে ছটফট করছেন। আর ঘুরে ফিরে ফ্যানের দিকে তাকাচ্ছেন। মুসল্লিদের পড়নের কাপড় শুকনো নেই। ঘামে ভিজে জ্বলছে শরীর। এরই মধ্যে দাঁড়িয়েছে জুমআর জামায়াত। তখনও বিদ্যুৎ নেই। জামাতে নামাজ হলো। শেষ হলো একটি জানাযা। মসজিদ ছেড়ে মুসল্লিরা বাহিরে আসল। সোয়া ১ ঘন্টা পর বিকাল ১টা ৪২ মিনিটে আসল বিদ্যুৎ। ফাঁকে জুমআর নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ ও উপসহকারি প্রকৌশলী সুমন হোসেন সর্দারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও উনারা রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী একাধিক মুসল্লি বলেন, উপজেলা সদরের জুমআর নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকবে না। এমনটি কল্পনাও করা যায় না। এরপর দায়িত্বশীল অফিসাররা ফোন ধরেন না। আজ আমাদেরকে খুব কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হয়েছে। উনারা নামাজের সময় লাইন বন্ধ রেখে কাজ করতে পারেন না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে ব্যবসা করবেন। এটা সরাইলের গ্রাহকরা মেনে নিবেন না। লোডশেডিং এর মানে রাতে ৪ বার দিনে ৪-৫ বার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া। লোডশেডিং তো একটি শিডিউলে চলবে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

জুমআর দিনে সরাইল সদর সোয়া ১ ঘন্টা অন্ধকারে ভ্যাঁসপা গরমে মুসল্লিদের ছটফট

Update Time : 10:53:37 pm, Friday, 15 July 2022

গত ৪-৫ দিনের প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ট জনজীবন। বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যানের বাতাসও তাপদাহে ভূমিকা রাখতে পারছে না। এই অবস্থায় আজ শুক্রবার জুমআ’র নামাজের সময় সরাইল সদর ছিল সোয়া ১ ঘন্টা অন্ধকারে। দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে চলে যায় বিদ্যুৎ। আসে নামাজ শেষ হওয়ার পর ১টা ৪২ মিনিটে। কারণ জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ ও উপসহকারি প্রকৌশলী সুমন হোসেন সরদার। সরজমিনে স্থানীয় লোকজন ও মুসল্লিরা জানায়, বর্তমানে প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৈদ্যুতিক ফ্যানের বাতাসেও গরম সামাল দেয়া যাচ্ছে না। চারিদিকে মানুষের হ্যাঁ হুতাশ। আজ ছিল শুক্রবার। এ দিনকার জুমআর নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ ও ফজিলতের। এখানকার সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যখন গোসল ওজু করে নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখনই চমক দেখান সরাইল পিডিবি। দুপুর ১২ টা ২৭ মিনিটে চলে যায় বিদ্যুৎ। মুসল্লিরা মসজিদে আসছেন। কিন্তু মসজিদের বৈদ্যুতিক সিলিংফ্যান ঘুরছে না। আশায় আশায় ঘড়ির কাটায় দুপুর ১টা। ইমাম সাহেবের পড়নের সকল জামা কাপড় ঘামে ভিজে গেছে। তারপরও চলছে বয়ান। শেষ হয়েছে খুৎবাও। সকল মুসল্লি ভ্যাঁসপা গরমে ছটফট করছেন। আর ঘুরে ফিরে ফ্যানের দিকে তাকাচ্ছেন। মুসল্লিদের পড়নের কাপড় শুকনো নেই। ঘামে ভিজে জ্বলছে শরীর। এরই মধ্যে দাঁড়িয়েছে জুমআর জামায়াত। তখনও বিদ্যুৎ নেই। জামাতে নামাজ হলো। শেষ হলো একটি জানাযা। মসজিদ ছেড়ে মুসল্লিরা বাহিরে আসল। সোয়া ১ ঘন্টা পর বিকাল ১টা ৪২ মিনিটে আসল বিদ্যুৎ। ফাঁকে জুমআর নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ ও উপসহকারি প্রকৌশলী সুমন হোসেন সর্দারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও উনারা রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী একাধিক মুসল্লি বলেন, উপজেলা সদরের জুমআর নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকবে না। এমনটি কল্পনাও করা যায় না। এরপর দায়িত্বশীল অফিসাররা ফোন ধরেন না। আজ আমাদেরকে খুব কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হয়েছে। উনারা নামাজের সময় লাইন বন্ধ রেখে কাজ করতে পারেন না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে ব্যবসা করবেন। এটা সরাইলের গ্রাহকরা মেনে নিবেন না। লোডশেডিং এর মানে রাতে ৪ বার দিনে ৪-৫ বার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া। লোডশেডিং তো একটি শিডিউলে চলবে।

মাহবুব খান বাবুল