ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আজ আ’লীগ নেতা ইকবাল আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

আজ আ’লীগ নেতা ইকবাল আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
আজ ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতা এ.কে.এম ইকবাল আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। দলীয় কোন্দলের জেরে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিন সন্ধ্যায় সরাইল অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড়ে খুন হন ইকবাল আজাদ। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরে সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে দোয়া করা হয়। আজও কোরআন খানি মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছেন পরিবার। দলীয়, মামলা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সরাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এর ছেলে ইকবাল আজাদ সরাইল উপজেলা আ’লীগের একজন নেতা ছিলেন।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুঘঞ্জ) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আসছিলেন। দলীয় গ্রূপিং ও কোন্দলের জেরে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবর খুন হন তিনি। ইকবাল আজাদ খুনের পরই সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তখনকার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেন জেলা আ’লীগ। মামলায় আসামী হয় ৪-৫ জন মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগে নেতা। আর তখন থেকেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে সরাইল আ’লীগ। সেই রেষ আদৌ কাটেনি। গত ১১ বছর ধরে নানা ভাবে জ্বলে পোঁড়ে ছারখার হচ্ছে এখানকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। বুঝতে পেরে জাতীয় নির্বাচনে দল জোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে আসছিলেন। মামলার আসামীরা নিজেদের নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন, সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। আসামীরা বলছেন, প্রকৃত ঘটনা ও আসামীদের আড়াল করে নিজেদেরকে নেতা জাহির করতে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী শুধু মাত্র রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে আমাদেরকে আসামী করেছে।

গত ১১ বছর ধরে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বাদী পক্ষ মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্রগ্রাম, চট্রগাম থেকে ঢাকায়, মাঝখানে দীর্ঘ সময় মামলার কার্যক্রম স’গিত, আবার ঢাকা থেকে চট্রগাম। এভাবেই টানা খেচড়া করছেন। হত্যার বিচার নয়, মাঠ খালি করে সরাইল আওয়ামী লীগকে কবর দেয়াই তাদের মূল উদ্যেশ্য। বাদী পক্ষ বলছেন, প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরই আসামী করা হয়েছে। আইন ও সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি। ইতোমধ্যে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আজাদ মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলার দুই আসামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম ও মুক্তিযোদ্ধা মো. ছাদেক মিয়া মারা গেছেন। মামলার এজহারে প্রথমে ২৪ জনকে আসামী করলেও পরে অভিযোগ পত্রে আরো ৫ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এখন মোট আসামী ২৯ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আজ আ’লীগ নেতা ইকবাল আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় : ১২:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
আজ ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতা এ.কে.এম ইকবাল আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। দলীয় কোন্দলের জেরে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিন সন্ধ্যায় সরাইল অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড়ে খুন হন ইকবাল আজাদ। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরে সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে দোয়া করা হয়। আজও কোরআন খানি মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছেন পরিবার। দলীয়, মামলা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সরাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এর ছেলে ইকবাল আজাদ সরাইল উপজেলা আ’লীগের একজন নেতা ছিলেন।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুঘঞ্জ) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আসছিলেন। দলীয় গ্রূপিং ও কোন্দলের জেরে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবর খুন হন তিনি। ইকবাল আজাদ খুনের পরই সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তখনকার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেন জেলা আ’লীগ। মামলায় আসামী হয় ৪-৫ জন মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগে নেতা। আর তখন থেকেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে সরাইল আ’লীগ। সেই রেষ আদৌ কাটেনি। গত ১১ বছর ধরে নানা ভাবে জ্বলে পোঁড়ে ছারখার হচ্ছে এখানকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। বুঝতে পেরে জাতীয় নির্বাচনে দল জোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে আসছিলেন। মামলার আসামীরা নিজেদের নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন, সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। আসামীরা বলছেন, প্রকৃত ঘটনা ও আসামীদের আড়াল করে নিজেদেরকে নেতা জাহির করতে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী শুধু মাত্র রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে আমাদেরকে আসামী করেছে।

গত ১১ বছর ধরে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বাদী পক্ষ মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্রগ্রাম, চট্রগাম থেকে ঢাকায়, মাঝখানে দীর্ঘ সময় মামলার কার্যক্রম স’গিত, আবার ঢাকা থেকে চট্রগাম। এভাবেই টানা খেচড়া করছেন। হত্যার বিচার নয়, মাঠ খালি করে সরাইল আওয়ামী লীগকে কবর দেয়াই তাদের মূল উদ্যেশ্য। বাদী পক্ষ বলছেন, প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরই আসামী করা হয়েছে। আইন ও সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি। ইতোমধ্যে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আজাদ মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলার দুই আসামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম ও মুক্তিযোদ্ধা মো. ছাদেক মিয়া মারা গেছেন। মামলার এজহারে প্রথমে ২৪ জনকে আসামী করলেও পরে অভিযোগ পত্রে আরো ৫ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এখন মোট আসামী ২৯ জন।