ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

সুখিনার মরদেহ রেখে হাসপাতাল থেকে পালালেন শ্বশুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

গৃহবধূর মরদেহ রেখে হাসপাতাল থেকে পালালেন শ্বশুর

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সুখিনা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন শ্বশুর আব্বাস আলী । শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুখিনার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠান। সুখিনা জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার মেয়ে ও সৌদি আরব প্রবাসী সাইদুল মিয়ার স্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুখিনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার শ্বশুর আব্বাস আলী তাকে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর সুখিনা মারা যান। তার মৃত্যুর খবর শুনে আব্বাস আলী মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান। সুখিনার মা সবজান বলেন, ১০ বছর আগে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া তার মেয়ে সুখিনাকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তারপর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সাইদুলকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সুখিনাকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে অত্যাচার করতো সাইদুল। সাইদুল তাকে কোনো কিছুতেই স্বাধীনতা দিতো না। আজকে সাইদুলের কারণে সুখিনা আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুখিনার মরদেহ রেখে হাসপাতাল থেকে পালালেন শ্বশুর

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সুখিনা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন শ্বশুর আব্বাস আলী । শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুখিনার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠান। সুখিনা জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার মেয়ে ও সৌদি আরব প্রবাসী সাইদুল মিয়ার স্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুখিনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার শ্বশুর আব্বাস আলী তাকে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর সুখিনা মারা যান। তার মৃত্যুর খবর শুনে আব্বাস আলী মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান। সুখিনার মা সবজান বলেন, ১০ বছর আগে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া তার মেয়ে সুখিনাকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তারপর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সাইদুলকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সুখিনাকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে অত্যাচার করতো সাইদুল। সাইদুল তাকে কোনো কিছুতেই স্বাধীনতা দিতো না। আজকে সাইদুলের কারণে সুখিনা আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।