Dhaka 12:41 am, Wednesday, 1 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধানের মোকাম পরিদর্শন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:36:43 pm, Wednesday, 9 February 2022
  • 373 Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলের হাওরের সবচেয়ে বড় ধানের হাটে স্বাভাবিকের চেয়ে ধানের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই ধানের দরে ঊর্ধ্বগতি। মূলত হাটে ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধানের দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে বুধবার দুপুরে (০৯ ফেব্রুয়ারি) ধানের মোকাম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী। এ সময় তিনি প্রান্তিক কৃষক ধানের বেপারী, আড়তদার ও চালকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বর্তমানে আশুগঞ্জ ধানের মোকামে প্রতিদিন গড়ে ২৫/৩০ হাজার মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বিআর-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৩৬০ টাকা দরে, বিআর-২৯ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকায়। আর বিআর-৪৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১১৭০ থেকে ১১৮০ টাকা দরে। প্রত্যেক জাতের ধানে মণপ্রতি ২০-৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চালকল মালিকরা। এর ফলে ধান থেকে চাল তৈরিতেও মিল মালিকদের খরচ বাড়ছে। আশুগঞ্জ ধানের মোকাম পরিদর্শন শেষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে ধান এবং চালের বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। মূলত এখন ধানের মৌসুম না হওয়ায় হাটে ধানের সরবরাহ তুলনামূলক কম। সেজন্য বাজারদরে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারপরও আমরা মনিটরিং করা হচ্ছে- কেউ যেন কৃত্রিমভাবে দাম না বাড়াতে পারে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চিন্তা মনি তালকুদার, চলাচল ও সংরক্ষন কর্মকর্তা আবদুল হান্নান, আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মইনুল খায়র খসরু, খাদ্য পরিদর্শক উম্মে মাছুরা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সভাপতি বাবুল আহমেদ, আশুগঞ্জ উপজেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি সভাপতি মো. জুবায়ের হায়দার বুলু প্রমুখ। উল্লেখ্য: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধানের সবচেয়ে বড় হাট বসে আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে। ওই হাটকে বলা হয় দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম। আর এই মোকামকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২৯৩টি চাতালকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আশুগঞ্জে রয়েছে ২২২টি চাতালকল। বাকি ৭১টি চাতাল মিল গুলো জেলার অন্য উপজেলা গুলোতে অবস্থিত। বিওসি ঘাটের ধানের মোকামই এসব চাতালকলে ধানের যোগান দেয়। প্রতি বছর বোর ও আমন মৌসুমে জেলার চালকলগুলোর সাথে চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করে খাদ্য বিভাগ। এবারও জেলার আমন মৌসুমে ১৭৪টি চালকলের সাথে ১৪,২৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। আর জেলার সবকটি উপজেলার ১ হাজারেরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে ২,৭৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি চাল নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আর ধান কেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭ টাকায়। গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চালবে চলতি মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে বুধবার পর্যন্ত চাল ১৩,৬৬৫ ও ধান ১,৯৬৫ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধানের মোকাম পরিদর্শন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক

Update Time : 09:36:43 pm, Wednesday, 9 February 2022

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলের হাওরের সবচেয়ে বড় ধানের হাটে স্বাভাবিকের চেয়ে ধানের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই ধানের দরে ঊর্ধ্বগতি। মূলত হাটে ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধানের দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে বুধবার দুপুরে (০৯ ফেব্রুয়ারি) ধানের মোকাম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী। এ সময় তিনি প্রান্তিক কৃষক ধানের বেপারী, আড়তদার ও চালকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বর্তমানে আশুগঞ্জ ধানের মোকামে প্রতিদিন গড়ে ২৫/৩০ হাজার মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বিআর-২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ থেকে ১৩৬০ টাকা দরে, বিআর-২৯ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকায়। আর বিআর-৪৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১১৭০ থেকে ১১৮০ টাকা দরে। প্রত্যেক জাতের ধানে মণপ্রতি ২০-৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চালকল মালিকরা। এর ফলে ধান থেকে চাল তৈরিতেও মিল মালিকদের খরচ বাড়ছে। আশুগঞ্জ ধানের মোকাম পরিদর্শন শেষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে ধান এবং চালের বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। মূলত এখন ধানের মৌসুম না হওয়ায় হাটে ধানের সরবরাহ তুলনামূলক কম। সেজন্য বাজারদরে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারপরও আমরা মনিটরিং করা হচ্ছে- কেউ যেন কৃত্রিমভাবে দাম না বাড়াতে পারে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চিন্তা মনি তালকুদার, চলাচল ও সংরক্ষন কর্মকর্তা আবদুল হান্নান, আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মইনুল খায়র খসরু, খাদ্য পরিদর্শক উম্মে মাছুরা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সভাপতি বাবুল আহমেদ, আশুগঞ্জ উপজেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি সভাপতি মো. জুবায়ের হায়দার বুলু প্রমুখ। উল্লেখ্য: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধানের সবচেয়ে বড় হাট বসে আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে। ওই হাটকে বলা হয় দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম। আর এই মোকামকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২৯৩টি চাতালকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আশুগঞ্জে রয়েছে ২২২টি চাতালকল। বাকি ৭১টি চাতাল মিল গুলো জেলার অন্য উপজেলা গুলোতে অবস্থিত। বিওসি ঘাটের ধানের মোকামই এসব চাতালকলে ধানের যোগান দেয়। প্রতি বছর বোর ও আমন মৌসুমে জেলার চালকলগুলোর সাথে চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করে খাদ্য বিভাগ। এবারও জেলার আমন মৌসুমে ১৭৪টি চালকলের সাথে ১৪,২৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। আর জেলার সবকটি উপজেলার ১ হাজারেরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে ২,৭৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি চাল নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আর ধান কেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭ টাকায়। গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চালবে চলতি মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে বুধবার পর্যন্ত চাল ১৩,৬৬৫ ও ধান ১,৯৬৫ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে।