Dhaka 12:50 pm, Friday, 3 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

সরাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:01:31 pm, Wednesday, 29 June 2022
  • 117 Time View

সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাঁটু পানি। গত ১০-১৫ দিন ধরে প্রকল্পের বাসিন্ধারা পানির উপরে কষ্ট করে বসবাস করলেও কোন ধরণের ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া সেখান থেকে বাজারে বা অন্য কোথাও যেতে হলে নৌকা ছাড়া অসম্ভব। তাই চরম কষ্টে বসবাসের কথা জানিয়েছেন রমজান মিয়া ও তোবারক মিয়া। স্থানীয় লোকজন ও কয়েকজন সমাজকর্মী জানায়, আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের হাওরে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১০টি পরিবারকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ঘর। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৫-২০ দিন আগেই তলিয়ে গেছে হাওর ও যাতায়তের কাঁচা সড়ক। চারিদিকে পানি আর মাঝখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধারা। গত ১০-১৫ দিন আগে ওই প্রকল্পের আঙ্গিনা তলিয়ে যায়। এরপর পানি প্রবেশ করে ঘরের ভেতরে। কোন রকমে ঘরের ভেতরে বসবাস করছেন তারা। ১০টি পরিবারের মধ্যে আছে ৬টি পরিবার। প্রকল্পের শুরূ থেকেই নেই ৪টি পরিবার। বসতঘর থেকে বের হলেই গলা সমান পানি। আবার কোথাও সাঁতার পানি। কোথাও কাজ করতে ও হাটবাজার করতে গেলে নৌকা ছাড়া কোন উপায় নেই তাদের। জীবন-যাপনে খরচ বেড়ে গেছে। ওদিকে বন্যার কারণে কমে গেছে কাজ। এ জন্য ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধাদের জীবন এখন খুবই কষ্টের। প্রকল্পের বাসিন্ধা মো. কুতুব মিয়া (৫৭) স্ত্রীকে নিয়ে পানির উপরই সেখানে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমডার বাড়ি নোয়াগাঁও। ৬ পরিবার খুব কষ্ট কইরা অতদিন ধইরা এইহান থাকতাছি। খাওনেরও কষ্ট। চেয়ারম্যান আর ফতেহ আলী মেম্বার একদিন আইছিল। আর আমডার কোন খুঁজ খবর নিতাছে না। অত দিন অইল এইহানে কেউই রিলিফ বা কোন খাওন লইয়া আইছে না। অহন আমডা সাইয়রে ভাসতাছি। পুবের দুই ঘরের মানুষ অনেক আগে অই গেছেগা। কাঁচা আবুইদ্দা লইয়া হেরা থাকত পারে না। আবুইদ্দা পানিত পইড়া যাগা। আরেক বাসিন্ধা তাবারক মিয়া (৪২) বলেন, আমডার বাড়ি জয়ধরকান্দি। ২ বছর আগ থাইক্কা ওই এইহান থাকতাছি। কাপড় ভিজাইয়া যাওয়া আসা করতাছি। উদ্বোধন করার পর থাইক্কা এইহান ৪ টা পরিবার থাকে না। ৬ নং ওয়ার্ডের বুড্ডা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ টি ঘরেও প্রবেশ করেছে পানি। নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আইরলে ১০টি ও বুড্ডায় ৩ টি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আইরলে কিছু মাটি ফেলা হয়েছিল। তাপরও জায়গাটি নিচু। আর বুড্ডায় কোন মাটি ফেলা হয়নি। আজ পর্যন্ত (গতকাল ২৮ মে মঙ্গলবার) তারা কোন ত্রাণ পায়নি। তবে গতকাল বিকেলে কিছু ত্রাণ পেয়েছি। আগামীকাল দিব। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ৩৮টি। ত্রাণ পেয়েছি ৩০টি। আজ বুধবার ত্রাণ বিতরণ করব। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত টেগ অফিসার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আইরলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরেই পানি। আমার জানা মতে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে কোন ধরণের ত্রাণ যায়নি।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

সরাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ

Update Time : 05:01:31 pm, Wednesday, 29 June 2022

সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাঁটু পানি। গত ১০-১৫ দিন ধরে প্রকল্পের বাসিন্ধারা পানির উপরে কষ্ট করে বসবাস করলেও কোন ধরণের ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া সেখান থেকে বাজারে বা অন্য কোথাও যেতে হলে নৌকা ছাড়া অসম্ভব। তাই চরম কষ্টে বসবাসের কথা জানিয়েছেন রমজান মিয়া ও তোবারক মিয়া। স্থানীয় লোকজন ও কয়েকজন সমাজকর্মী জানায়, আইরল গ্রামের পূর্ব পাশের হাওরে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১০টি পরিবারকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ঘর। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৫-২০ দিন আগেই তলিয়ে গেছে হাওর ও যাতায়তের কাঁচা সড়ক। চারিদিকে পানি আর মাঝখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধারা। গত ১০-১৫ দিন আগে ওই প্রকল্পের আঙ্গিনা তলিয়ে যায়। এরপর পানি প্রবেশ করে ঘরের ভেতরে। কোন রকমে ঘরের ভেতরে বসবাস করছেন তারা। ১০টি পরিবারের মধ্যে আছে ৬টি পরিবার। প্রকল্পের শুরূ থেকেই নেই ৪টি পরিবার। বসতঘর থেকে বের হলেই গলা সমান পানি। আবার কোথাও সাঁতার পানি। কোথাও কাজ করতে ও হাটবাজার করতে গেলে নৌকা ছাড়া কোন উপায় নেই তাদের। জীবন-যাপনে খরচ বেড়ে গেছে। ওদিকে বন্যার কারণে কমে গেছে কাজ। এ জন্য ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্ধাদের জীবন এখন খুবই কষ্টের। প্রকল্পের বাসিন্ধা মো. কুতুব মিয়া (৫৭) স্ত্রীকে নিয়ে পানির উপরই সেখানে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমডার বাড়ি নোয়াগাঁও। ৬ পরিবার খুব কষ্ট কইরা অতদিন ধইরা এইহান থাকতাছি। খাওনেরও কষ্ট। চেয়ারম্যান আর ফতেহ আলী মেম্বার একদিন আইছিল। আর আমডার কোন খুঁজ খবর নিতাছে না। অত দিন অইল এইহানে কেউই রিলিফ বা কোন খাওন লইয়া আইছে না। অহন আমডা সাইয়রে ভাসতাছি। পুবের দুই ঘরের মানুষ অনেক আগে অই গেছেগা। কাঁচা আবুইদ্দা লইয়া হেরা থাকত পারে না। আবুইদ্দা পানিত পইড়া যাগা। আরেক বাসিন্ধা তাবারক মিয়া (৪২) বলেন, আমডার বাড়ি জয়ধরকান্দি। ২ বছর আগ থাইক্কা ওই এইহান থাকতাছি। কাপড় ভিজাইয়া যাওয়া আসা করতাছি। উদ্বোধন করার পর থাইক্কা এইহান ৪ টা পরিবার থাকে না। ৬ নং ওয়ার্ডের বুড্ডা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ টি ঘরেও প্রবেশ করেছে পানি। নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আইরলে ১০টি ও বুড্ডায় ৩ টি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আইরলে কিছু মাটি ফেলা হয়েছিল। তাপরও জায়গাটি নিচু। আর বুড্ডায় কোন মাটি ফেলা হয়নি। আজ পর্যন্ত (গতকাল ২৮ মে মঙ্গলবার) তারা কোন ত্রাণ পায়নি। তবে গতকাল বিকেলে কিছু ত্রাণ পেয়েছি। আগামীকাল দিব। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ৩৮টি। ত্রাণ পেয়েছি ৩০টি। আজ বুধবার ত্রাণ বিতরণ করব। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত টেগ অফিসার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আইরলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরেই পানি। আমার জানা মতে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে কোন ধরণের ত্রাণ যায়নি।

মাহবুব খান বাবুল