Dhaka 2:27 am, Thursday, 9 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:29:39 pm, Friday, 16 June 2023
  • 120 Time View

সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারীরা

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করনের কাজ। খামারিরা জানান গো খাদ্যের উর্ধ্বগতিতে বেড়েছে খামারের ব্যয়। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা । জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা। অন্যদিকে প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, দেশীয় পশু দিয়েই স্থানীয়ভাবে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার । জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক গবাধি পশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন খামারিরা। এ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের কাজ করছেন। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সবধরণের কোরবানির পশু রয়েছে।

খামারিরা জানান, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খামারের ব্যয়। ইতিমধ্যে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। প্রতি কেজি ভুট্রার ভুষি আগে ২৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে ৩৮/৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইলেজ প্রতি কেজি ৭/৮ টাকা থেকে বেড়ে ১০/১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি গরু আগে ৭/৮ হাজার টাকায় লালন-পালন করা গেলেও এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকায়। বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে খামার মালিকরা। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কোরবানির পশু আসা রোধ করতে পারলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন। এদিকে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশুর বিক্রয় বন্ধে হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর কথা জানালেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম জানান, কোরবানীর জন্য প্রয়োজনীয় পশু প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নানা পদক্ষেপের কথা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন এমনটাই প্রত্যাশা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারীরা

Update Time : 09:29:39 pm, Friday, 16 June 2023

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করনের কাজ। খামারিরা জানান গো খাদ্যের উর্ধ্বগতিতে বেড়েছে খামারের ব্যয়। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা । জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা। অন্যদিকে প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, দেশীয় পশু দিয়েই স্থানীয়ভাবে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার । জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক গবাধি পশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন খামারিরা। এ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের কাজ করছেন। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সবধরণের কোরবানির পশু রয়েছে।

খামারিরা জানান, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খামারের ব্যয়। ইতিমধ্যে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। প্রতি কেজি ভুট্রার ভুষি আগে ২৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে ৩৮/৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইলেজ প্রতি কেজি ৭/৮ টাকা থেকে বেড়ে ১০/১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি গরু আগে ৭/৮ হাজার টাকায় লালন-পালন করা গেলেও এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকায়। বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে খামার মালিকরা। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কোরবানির পশু আসা রোধ করতে পারলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন। এদিকে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশুর বিক্রয় বন্ধে হাটগুলোতে নজরদারী বাড়ানোর কথা জানালেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম জানান, কোরবানীর জন্য প্রয়োজনীয় পশু প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নানা পদক্ষেপের কথা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন এমনটাই প্রত্যাশা।