Dhaka ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ সরাইলে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা সরাইলে ২৩ রোগী পেল ১৮৪০০০ টাকা বাবার সেই চিঠি শুধুই মনে —–আল আমীন শাহীন জমে ওঠেছে সরাইলের ঈদ বাজার‘আলিয়া’ নিয়ে টানাটানি সরাইলে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ কারবারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়ি়য়া জেলা কাজী সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সরাইলে ভূয়া জন্ম সনদ বাণিজ্য হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১২৮ Time View

করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সরাইল উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজারেরও অধিক। টিকার কার্যক্রম শুরূ হওয়ার পরই জন্ম সনদের জন্য চারিদিকে দৌঁড়ঝাঁপ করছে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত তৈরী করেছে সনদ। করেছে বাণিজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূয়া জন্ম সনদ। হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার অরূয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের তারিখ। এ সময় ধরা পড়েছে ভূয়া জন্ম সনদ। এ গুলোর অধিকাংশই কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করা ভূয়া সনদ। এই সনদ গুলো অনলাইনে যাচাই করলে নাম ও জন্ম তারিখে গড়মিল ধরা পড়ে। একজনের নাম দিলে চলে আসে আরেকজনের নাম। অরূয়াইল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলেন, “আমার ভাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। টিকার নিবন্ধন করতে গেলে অনলাইনে আমার ওই সনদ পায়নি। তাই টিকার নিবন্ধন করতে পারছি না।” এই ঘটনার পর এখন আতঙ্কে আছেন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্বিতীয় ডোজের নিবন্ধন করতে গিয়ে যদি তারাও এমন গড়মিলের শিকার হয়? ভূয়া সনদের ভেড়াজালে তারাও পড়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয় কেউ। সরজমিনে জানা যায়, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গ্রাফিক্স সফট্‌ওয়ার ফটোশপ ব্যবহার করে এসব জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করছে একটি সিন্ডিকেট। ওইসব জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটছে। জন্ম নিবন্ধনের গুরূত্বপূর্ণ ভুল সংশোধনের জন্য ওই চক্রটি ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকিয়েছে। অরূয়াইল ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, “চেয়ারম্যান ও সচিবের সই ও সীল নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভূয়া জন্ম সনদ তৈরী করছে। আসলে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান গুলো এ কাজ করছে।” পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভূয়া সনদের বিষয়ে অনেকবার অবগত করেছি। কোন ব্যবস্থা নেননি। অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।” সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ভূয়া সনদ সরবরাহকারীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

সরাইলে ভূয়া জন্ম সনদ বাণিজ্য হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৮:৫৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সরাইল উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজারেরও অধিক। টিকার কার্যক্রম শুরূ হওয়ার পরই জন্ম সনদের জন্য চারিদিকে দৌঁড়ঝাঁপ করছে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত তৈরী করেছে সনদ। করেছে বাণিজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূয়া জন্ম সনদ। হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ছিল উপজেলার অরূয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের তারিখ। এ সময় ধরা পড়েছে ভূয়া জন্ম সনদ। এ গুলোর অধিকাংশই কম্পিউটার দোকান থেকে স্ক্যান করা ভূয়া সনদ। এই সনদ গুলো অনলাইনে যাচাই করলে নাম ও জন্ম তারিখে গড়মিল ধরা পড়ে। একজনের নাম দিলে চলে আসে আরেকজনের নাম। অরূয়াইল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলেন, “আমার ভাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ তৈরী করেছেন। টিকার নিবন্ধন করতে গেলে অনলাইনে আমার ওই সনদ পায়নি। তাই টিকার নিবন্ধন করতে পারছি না।” এই ঘটনার পর এখন আতঙ্কে আছেন অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দ্বিতীয় ডোজের নিবন্ধন করতে গিয়ে যদি তারাও এমন গড়মিলের শিকার হয়? ভূয়া সনদের ভেড়াজালে তারাও পড়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয় কেউ। সরজমিনে জানা যায়, সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে গ্রাফিক্স সফট্‌ওয়ার ফটোশপ ব্যবহার করে এসব জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করছে একটি সিন্ডিকেট। ওইসব জায়গায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাও ঘটছে। জন্ম নিবন্ধনের গুরূত্বপূর্ণ ভুল সংশোধনের জন্য ওই চক্রটি ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকিয়েছে। অরূয়াইল ইউপি সচিব নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, “চেয়ারম্যান ও সচিবের সই ও সীল নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভূয়া জন্ম সনদ তৈরী করছে। আসলে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান গুলো এ কাজ করছে।” পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভূয়া সনদের বিষয়ে অনেকবার অবগত করেছি। কোন ব্যবস্থা নেননি। অনেক লোক প্রতারিত হচ্ছে। জালিয়াত চক্রের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।” সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ভূয়া সনদ সরবরাহকারীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাহবুব খান বাবুল