সপ্তাহ দিন পর আজ সকালে ঘন কূঁয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল সরাইল। কিছুটা সমস্যায় ভোগেছেন গাড়ি চালকরা। অনেক চালক ডাকাতের কবলে পড়ার শঙ্কায় ভোগেছেন। ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এমন কূঁয়াশা দেখে আশ্চর্য হয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলেছেন, ‘এ তো দেখছি প্রকৃতির বিরূপ আচরণ।’আজ বৃহস্পতিবার ছিল ১১ ফাল্গুন। ঘড়ির কাটায় সকাল ৬টা ৫০ মিনিট। সড়কে বের হয়ে দেখা যায় সরাইলের সড়কসহ সব জায়গায় ঘন কূঁয়াশার দাপট। যে দিকে চোখ যায় অন্ধকার। ১০-১৫ গজ দূরেও ভাল ভাবে দেখা যাচ্ছে না। শীত চলে যাচ্ছে। আরো ১০-১২ দিন আগ থেকেই কোকিল ডাকছে। শুরূ হয়েছে বসন্ত। এ সময়ে কূঁয়াশা থাকার কথা নয়। সূর্যের দেখা নেই। সড়কে যান গুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দূর থেকে যানবাহন নয় শুধু আলো দেখা যাচ্ছে। কামাল ও আনোয়ার সহ একাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক বলেন, ফাল্গুনের ভোরে এমন ঘন কূঁয়াশা কখনো দেখিনি। নাসিরনগর থেকে আসছিলাম। চারিদিকে অন্ধকার দেখে ভয়ে থমকে গেছি। পথিমধ্যে যদি ডাকাত ধরে বসে। সূর্যের আলোর সময় লাইট জ্বালিয়ে সড়ক পাড়ি দিতে হয়েছে। এরপর দূর্ঘটনার ভয়ে আতঙ্কে ছিলাম। প্রবীন মুরব্বি মো. আকবর ঠাকুর বলেন, এমন অসময়ে অন্ধকার করার মত কূঁয়াশা অতীতে কখনো দেখিনি। আমাদের কর্মের কারণে প্রকৃতি এমন আচরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।
মাহবুব খান বাবুল