নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

0
66
নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে আজ( ২৫ মে) বৃহস্পতিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মেহেদী হাসান।

অভিযোগপত্রের সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের ২১ ধারা আইন লংগন করে নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক তার নিজের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসমাম ট্রের্ডাসের নামে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের টেন্ডারে অংশ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ নিয়ে নিচ্ছেন। তার নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে সেলাই মেশিন সরবরাহের কাজ নেওয়া। সরকারী স্কুলের পুরাতন ভবন টেন্ডারের নামে ক্রয় করা। অবৈধভাবে গবাদি পশুর প্রকল্প নেওয়া বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কাজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদায় করে নেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়েছে, নবীনগর উপজেলার গুচ্ছ গ্রামে গ্রীন ভিলেজ প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করে কোটি টাকা আত্মসাধ করেছেন, ওই প্রকল্পের প্রায় ৬০টি ঘড় বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে কৃষি জমির মাটি বিক্রী করা, বাঙ্গরা বাজারে সড়ক ও জনপথের সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়। টি আর কাবিখা,জেলা পরিষদের বহু প্রকল্পের নামে মাত্র কাজ করেই অর্ধ আত্মসাধ করা,মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখা। বাশারুক তার নিজ গ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা দ্বীন ইসলামের উপর ন্যাক্কার জনক হামলা। এক সেনা সদস্যর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ। অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি নবীনগর উপজেলার একটি স্বর্নের দোকানে ডাকাতি মামলার প্রধান আসামী ছিলেন।

অভিযোগকারী মাওলানা মেহেদী হাসান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা এখন সাধারণ মানুষের মুখে, মুখে। আজকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয়ের বরাবরে তার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি।

নবীনগরবাসী তার দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে প্রতিকার চাইছে। সে কারনে আমি অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগগুলো তদন্ত করলে শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে।

এদিকে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে জাকির হোসেন সাদেক বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার আগ থেকেই আমি একজন ঠিকাদার। আমি ব্যবসা করে হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে জীবন পরিচালনা করি। বগডহর গ্রামে একটি স্কুলের কাজ করছি। ওই কাজ করতে গেলে মেহেদী হাসান আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আমি তাকে চাঁদা না দেওয়ার কারনে সে আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here