Dhaka 5:03 am, Thursday, 2 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

একমাস ধরে ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিশু শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:46:43 pm, Friday, 14 October 2022
  • 57 Time View

শিক্ষক মুহিদ মিয়া

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

সরাইলের বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়া (৪৫) কতৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার গতকাল বৃহস্পতিবার এক মাস হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিক্ষার্থী। গা ঢাকা দিয়েছেন মুহিদ মিয়া । আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় আছেন শিশুর অভিভাবকরা। বাদীকে মেডিকেল রিপোর্টের কপি আদালত থেকে উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শিক্ষা অফিস বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। বাদীর স্বজন ও বাবার কাছে কিছু লোক বিষয়টি আফোস রফার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তবে শিশুর প্রবাসী পিতা মাতা আপোষে রাজি নয়। তারা আইনি পক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাদী। মামলার বাদী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষক কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনার আজ ৩০ দিন। কারণ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ে একা পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার বিরূদ্ধে সরাইল থানায় একটি মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর মামা। ঘটনার পর থেকে তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। এরপর বাড়িতে আসলেও লজ্জায় বিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে যাচ্ছে না ওই ছাত্রী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিশুটিকে বিদ্যালয়মূখী করার কোন চেষ্টা করছেন না। ওদিকে দেখতে দেখতে ঘটনার পর চলে গেছে এক মাস। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক মুহিদ মিয়া। বাদী ও তার স্বজনরা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরণা দিয়েও সংগ্রহ করতে পারছেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুল ইসলাম মেডিকেল রিপোর্ট টি আদালত থেকে উত্তোলন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ধর্ষিত শিশুর মামা মামীসহ স্বজনরা, এখনো পর্যন্ত আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো মেডিকেল রিপোর্ট পাইনি। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অতি দ্রূতই সুফল পাব। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজীজ বলেন, ঘটনার পরই আমরা জেলার কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আজও (গতকাল বৃহস্পতিবার) আবারও সবকিছু কোয়ারি করে ওই শিক্ষকের বিরূদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

একমাস ধরে ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিশু শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক

Update Time : 02:46:43 pm, Friday, 14 October 2022

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

সরাইলের বুড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মুহিদ মিয়া (৪৫) কতৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার গতকাল বৃহস্পতিবার এক মাস হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্লাশে যাচ্ছে না ধর্ষিত শিক্ষার্থী। গা ঢাকা দিয়েছেন মুহিদ মিয়া । আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় আছেন শিশুর অভিভাবকরা। বাদীকে মেডিকেল রিপোর্টের কপি আদালত থেকে উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শিক্ষা অফিস বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। বাদীর স্বজন ও বাবার কাছে কিছু লোক বিষয়টি আফোস রফার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তবে শিশুর প্রবাসী পিতা মাতা আপোষে রাজি নয়। তারা আইনি পক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাদী। মামলার বাদী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষক কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনার আজ ৩০ দিন। কারণ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ে একা পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মুহিদ মিয়ার বিরূদ্ধে সরাইল থানায় একটি মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর মামা। ঘটনার পর থেকে তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। এরপর বাড়িতে আসলেও লজ্জায় বিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে যাচ্ছে না ওই ছাত্রী। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিশুটিকে বিদ্যালয়মূখী করার কোন চেষ্টা করছেন না। ওদিকে দেখতে দেখতে ঘটনার পর চলে গেছে এক মাস। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক মুহিদ মিয়া। বাদী ও তার স্বজনরা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরণা দিয়েও সংগ্রহ করতে পারছেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুল ইসলাম মেডিকেল রিপোর্ট টি আদালত থেকে উত্তোলন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ধর্ষিত শিশুর মামা মামীসহ স্বজনরা, এখনো পর্যন্ত আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় কিছুটা হতাশায় ভুগছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো মেডিকেল রিপোর্ট পাইনি। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অতি দ্রূতই সুফল পাব। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজীজ বলেন, ঘটনার পরই আমরা জেলার কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আজও (গতকাল বৃহস্পতিবার) আবারও সবকিছু কোয়ারি করে ওই শিক্ষকের বিরূদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখেছি।