‘সংসদে মহিলা এমপি’র দেয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী’
গত ২৭ জুন মহান জাতীয় সংসদে মাননীয় মহিলা সংসদ সদস্য (৩১২) উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমের দেয়া বক্তব্যের একাংশকে ৭৫ ভাগ মিথ্যা বলে তীব্র নিন্দা, আপত্তি ও প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। তিনি বলেন, উনার ভাসুর হুমায়ুন হত্যা নয়, সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় শুধু রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে আমি সহ আ’লীগের পদধারী নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের আসামী করা হয়েছে। এটা আমাদেরকে দাবিয়ে রেখে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে গুটি কয়েক বিপথগামী যুবকের ষড়যন্ত্র ও নীলনকশা। মূলত আমরা কেউ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়। অযথা আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে একেক জনের ৫/৬ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। অনেককে পথে বসিয়েছেন। পরিকল্পিত ভাবে প্রকৃত আসামীদের আড়াল করে আমাদের পরিবার ও স্বজনদের মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেন রফিক ঠাকুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল জব্বার, আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার ও যুবলীগ নেতা মফিজুর রহমান রনি। রফিক উদ্দিন ঠাকুর তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মহিলা এমপি’র শ্বশুর আব্দুল খালেক ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা মাইকে বলেছেন। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পবিত্র কোরআন শপথ করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পরিবার গুলো সংগঠিত করে আ’লীগের পতাকা তলে ধরে রেখেছি। এখন ইকবাল হত্যা মামলার ২৯ জন আসামীই আ’লীগের রাজনীতি করতে পারবেন না। কমিটিতে থাকতে পারবে না। এমন আইন আ’লীগের গঠনতন্ত্রের কোথাও নেই। ২০১৩ সালের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাইল আ’লীগের নেতৃবৃন্দের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান। বলা হয়েছিল তারা ইকবাল হত্যার আসামী। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ কার নামে মামলা নেই। মামলা থাকলে তারা আসতে পারবে না কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া জেলা কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত দেয়? বর্তমান উপজেলা আ’লীগেও রয়েছে মামলার আসামী। ইউপি আওয়ামী লীগের চলমান সম্মেলনে দায়িত্বশীল পদ দেয়া হয়েছে হত্যা মামলার আসামীকে। তাহলে আসামী হলে কমিটিতে থাকা যাবে না এই আইনটি কি শুধু আমাদের জন্য? গত ২৭ জুন তারিখে মাননীয় মহিলা এমপি ইকবাল হত্যার বিষয়ে বলতে গিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ ইকবালের বড় ভাই হুমায়ুন আজাদ জেলার তন্তর নামকস্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন এটা সমগ্র জেলাবাসী জানেন। পারিবারিক কলহ বিশেষ করে মহিলা এমপি’র সাথে বাক-বিতন্ডা ও নির্যাতনের কারণে ইকবাল হত্যা মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আজাদ মারা গেছেন। এমপি মহোদয় সংসদে বলেছেন তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এমন ঢাহা মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করূন। আপনি জাতীয় সংসদ সদস্য। দয়া করে পুনরায় ইকবাল হত্যা মামলাটি তদন্ত করূন। প্রকৃত খুনী চিহ্নিত করূন। আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমরাও ইকবাল হত্যায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচার চাই। নিরীহ নির্দোষ লোকদের আর হয়রানী করবেন না। সরাইলের মাটিতে আমাদেরকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ হবে না। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে মাটি হুইদ্দা পালামু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রফিক উদ্দিন ঠাকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দেন।
মাহবুব খান বাবুল