সংসদে মহিলা এমপি’র বক্তব্যের প্রতিবাদে সরাইলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩ ৬২১ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
গত ১৯ জুন মহান জাতীয় সংসদে দেয়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের (৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমের মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে সরাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতারা। সেই সাথে তারা সংসদ থেকে মহিলা এমপি’র অপসারণের দাবীও জানিয়েছেন। আজ রোববার সকালে হাসপাতাল মোড় থেকে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে কয়েক সহস্রাধিক নারী পুরূষের অংশ গ্রহনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় প্রধান সড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। মানববন্ধন থেকে একাধিক নারী পুরূষ বলেন, একটি কুচক্রী মহল নেতা হওয়ার জন্য ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করে আ’লীগকে নেতৃত্ব শুন্য করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তারা প্রকৃত খুনিদের আড়াল করেছে। আর সংসদে দাঁড়িয়ে নিয়মিত মিথ্যাচার করছেন শিউলী আজাদ। নির্দোষ নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু হলে সরাইলের মাটিতে আগুন জ্বলবে। মানববন্ধনটি এক সময় বিক্ষোভ মিছিলে পরিণত হয়। মিছিলে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি ও এমপি’র বানোয়াট বক্তব্য বন্দের স্লোগান দেয়া হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে গিয়ে বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়। ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। উপসি’ত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও সদর ইউপি আ’লীগের সভাপতি মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের টানা তিনবারের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার ও যুবলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম রনি প্রমূখ। বক্তারা বলেন, কতিপয় দুস্কৃতকারী ইকবাল আজাদকে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। মাঠ পরিস্কার করতে কতিপয় বাটপার সুযোগ নিয়েছে। প্রতিদ্বন্ধী সরানোর জন্য তারা আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের ও ৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে অযথা আসামী দিয়ে হয়রানি করছে। আর মহিলা এমপি সংসদে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মহিলা এমপি’র (শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান) শ্বশুরকে হত্যা করেছে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধারা। আর উনার ভাসুর হুমায়ুন আজাদ মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। তারা ইকবাল হত্যা মামলার পুন: তদন্ত দাবী করে বলেন, সরাইলের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করূন। সাপ্লিমেন্টারি অভিযোগপত্র দাখিল করূন।