বিজ্ঞান শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৯:১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে
এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল সার্ভিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এসসাড) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এর সহযোগিতায় আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয় “ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ আবুল বসার মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাইয়ুম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, একেএম শিবলী উপাধাক্ষ চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ, মোঃ আরজু মিয়া , সাবেক সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, মোঃ সাজিদুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা , ফজিলাতুন নাহার, সভাপতি নারী মুক্তি সংসদ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা, মোঃ আবুদর রউফ, সুপার নাওঘাট দাখিল মাদ্রাস, বিপ্লব চন্দ্র রায় সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহাগপুর আসিয়া শাফিউদ্দিন আদশ উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদ আলী সহকারী শিক্ষক পয়াগ-নরসিংসার এ বারী উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেনুন্নেছা মুনিয়া ,সমন্বয়কারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া , শাহ আলম পালোয়ান সমন্বয়কারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মোঃ সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থী, মোঃ তানভীর ইসলাম শিক্ষার্থী। প্রধান অতিথি আঃ কাইয়ূম বলেন, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় সংকট বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর যোগ্য সম্মানের ।
দেখা যায় যাঁরা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয় অথবা গবেষণা করে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করা হয় না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের চাকুরি করতে হয়। দেশে সুযোগ সুবিধাও নেই পর্যাপ্ত। হয়তো তাদের বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, অথবা প্রশাসনের দিকে ঝুঁকতে হয়। তাই দরকার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করা যায় এমন সব প্রকল্প হাতে নেওয়া। এই জায়গা থেকে এসসাডের কার্যক্রম সত্যি প্রসংশার দাবি রাখে। অধ্যাপক বিভূতি ভূষন দেবনাথ বলেন , বিশ্ববিদ্যালয় এর কাজ ৩টি। জ্ঞান অন্বেষণ, গবেষনা ও জ্ঞান বিতরণ। গবেষনা যদি না থাকে তা হলে কোন জাতি সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। ৫৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার জন্য কোন বরাদ্ধ ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্ধ ছিল ১৫ কোটি। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কিন’ তার পরেও তারা ( বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ) এই টাকা গবেষনার কাজে ব্যায় করতে পারে নাই। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনায় অনেক সাফলা অর্জন করেছে। তারা নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করে এদেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করছে।