মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
সরাইলের বেড়তলা গ্রামের বাসিন্দা জেলা ডিপিএফ’র সদস্য একজন দক্ষ ও কর্মঠ সংগঠক আব্দুল কুদ্দুছ (৬৫) ভাইয়ের বিদায়। আজ সোমবার বাদ যোহর সহস্রাধিক মানুষের অংশ গ্রহণে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ)। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৭-৮ মাস আগে ষ্ট্রোক করেছিলেন আব্দুল কুদ্দুছ। চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হলেও শাররীক ভাবে খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন। গত রবিবার গভীর রাতে হঠাৎ গুরূতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তিনি। জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৭ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সোমবার বাদ যোহর বেড়তলা বাজার সংলগ্ন মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তাঁর জানাযায় অংশ গ্রহন করেন-ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুর রাশেদ, জেলা ডিপিএফ’র সভাপতি সাংবাদিক মো. আরজু, জেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এস.এম শাহিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমূখ। কুদ্দুছ বেড়তলা মেঘনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দুই যুগেরও অধিক সময়। স্বেচ্ছায় কাজ করেছেন গরীব অসহায় মানুষের জন্য। তিনি ছিলেন একজন পল্লী চিকিৎসকও। জেলা ডিপিএফ’র সদস্য হয়ে পিফরডি প্রকল্পের কাজ করেছেন খুবই আন্তরিকতার সাথে। জেলা ডিপিএফ’র সভাপতি মো. আরজু প্রয়াতের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উনার মৃত্যুতে জেলা পলিসি ফোরাম চিরদিনের জন্য হারিয়েছেন একজন নিবেদিত প্রাণ সহযোদ্ধাকে ও সমাজসেবককে।