বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা আহম্মদ হোসেন বলেছেন, আল মামুন সরকার ছিলেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মী। তাকে দেখলেই মনে হতো তিনি কাজকর্ম নিয়েই ব্যস্ত আছেন। জীবন-যাপন ছিলো অতি সাধারণ। তাঁর মৃত্যু আমাদের কাংখিত ছিলো না। তিনি কলেজের ভিপি ছিলেন, ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই তাঁর সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠতা। তিনি আরো বলেন, মৃত্যুও মিছিল থেকেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। ৭৫ এর যখন মিছিল মানেই মৃত্যুকে ডেকে আনা তখনও আল মামুন সরকার মিছিল করেছেন। তিনি আরো বলেন,কিভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়,জনগণের কাজ কিভাবে করতে হয় তা আল মামুন সরকারের জীবন থেকে নতুন প্রজন্মকে শিখতে হবে। তিনি আরো বলেন,মামুন ভাই তাঁর কাজের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের কাছে বেঁচে থাকবেন। তিনি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সদ্য প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ এমপি, ,জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজি মো.হেলাল উদ্দিন,পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা,বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা,আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের আহমেদ ও জননেতা আল মামুন সরকারের শ্যালক চেম্বার পরিচালক তানভীর আহমেদ।
শোকসভার শুরুতেই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার,দেশবরেন্য কবি আসাদ চৌধুরী,বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক নাজু প্রয়াণে একমিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও.আবদুল্লাহ।