Dhaka ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ সরাইলে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

কসবায় নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৯ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় স্বামীর মানসিক নির্যাতনে কেড়ির বড়ি খেয়ে রেশমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (০৯ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রেশমা আক্তার ওই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। রেশমা আক্তারের মামা আনোয়ার হোসেন ও ফুফা আব্দুল আলীম অভিযোগ করে জানান, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের চৌবেপুর গ্রামের শুটকি ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়ার একমাত্র মেয়ে রেশমা আক্তার। প্রায় ২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রেশমাকে বিয়ে দেওয়া হয় খায়রুল ইসলামের কাছে। খায়রুল গাজীপুরে একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। বিয়ের পর পরই খায়রুল এড়িয়ে চলতো রেশমাকে। তার পরিবারের কয়েকজন জানিয়েছিল, খায়রুলের মতের বাইরে রেশমাকে বিয়ে করিয়েছিল পরিবার। তাই সে রেশমাকে মেনে নিতে পারেননি। সে বাড়িতে না এসে অধিকাংশ সময় গাজীপুরে থাকতেন। রেশমার সাথে খারাপ আচরণ করতেন। তাদের সম্পর্ক ভাল করতে খায়রুলের গাজীপুরের বাসায় রেশমাকে পরিবারের লোকজন পাঠিয়ে দিলেও সে কোন প্রকার পাত্তা দিতেন না। বরং বাসায় রেশমাকে একা ফেলে সে রাতে ফেরেনি। পরিবারে এনিয়ে দুই পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এসব বিষয় নিয়ে মেহারী ও খাড়েরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শালিশ সভা করে দুজনকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই সম্পর্ক বেশিদিন ভাল যায়নি। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ছুটিতে বাড়িতে আসে খায়রুল। এরপর রেশমাকে মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছিল খায়রুল। এরই জেরে রোববার ভোরে ঘরে থাকা কেড়ির বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে রেশমা। এই অবস্থায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেউ রেশমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি, হাসপাতালে পাঠায় এলাকার কিশোরদের দিয়ে। পরে রেশমা মারা গেলে খায়রুল সহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ

কসবায় নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ

Update Time : ০৭:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় স্বামীর মানসিক নির্যাতনে কেড়ির বড়ি খেয়ে রেশমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (০৯ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রেশমা আক্তার ওই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। রেশমা আক্তারের মামা আনোয়ার হোসেন ও ফুফা আব্দুল আলীম অভিযোগ করে জানান, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের চৌবেপুর গ্রামের শুটকি ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়ার একমাত্র মেয়ে রেশমা আক্তার। প্রায় ২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রেশমাকে বিয়ে দেওয়া হয় খায়রুল ইসলামের কাছে। খায়রুল গাজীপুরে একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। বিয়ের পর পরই খায়রুল এড়িয়ে চলতো রেশমাকে। তার পরিবারের কয়েকজন জানিয়েছিল, খায়রুলের মতের বাইরে রেশমাকে বিয়ে করিয়েছিল পরিবার। তাই সে রেশমাকে মেনে নিতে পারেননি। সে বাড়িতে না এসে অধিকাংশ সময় গাজীপুরে থাকতেন। রেশমার সাথে খারাপ আচরণ করতেন। তাদের সম্পর্ক ভাল করতে খায়রুলের গাজীপুরের বাসায় রেশমাকে পরিবারের লোকজন পাঠিয়ে দিলেও সে কোন প্রকার পাত্তা দিতেন না। বরং বাসায় রেশমাকে একা ফেলে সে রাতে ফেরেনি। পরিবারে এনিয়ে দুই পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এসব বিষয় নিয়ে মেহারী ও খাড়েরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শালিশ সভা করে দুজনকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই সম্পর্ক বেশিদিন ভাল যায়নি। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ছুটিতে বাড়িতে আসে খায়রুল। এরপর রেশমাকে মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছিল খায়রুল। এরই জেরে রোববার ভোরে ঘরে থাকা কেড়ির বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে রেশমা। এই অবস্থায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেউ রেশমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি, হাসপাতালে পাঠায় এলাকার কিশোরদের দিয়ে। পরে রেশমা মারা গেলে খায়রুল সহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।