ঢাকা ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি বন্দিদের ইফতারে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারা কর্তৃপক্ষ সরকারি অনুদান আত্মসাতের অভিযোগে মামলা এআরডি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব পানি দিবস পালিত

উশৃঙ্খল ও বেপরোয়া সরাইলের ঝুমা আধা ঘন্টায় ২ মামলা, ২ বাদীই শ্রীঘরে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

sarail thana

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

চরম উশৃঙ্খলতা অসামাজিক ব্ল্যকমেইলিং ও বেপরোয়া সরাইলের ঝুমা আক্তার (২৫)। পুলিশের সামনেই বেহায়পনা কথাবার্তা বলতে একটু বুক কাঁপেনি ঝুমার। মিথ্যা অভিয়োগ অপবাদ দিয়েছে তার খালার উপরও। এর জের ধরে পারিবারিক কলহে উভয় পরিবারের সদস্যরা আহত হন। তাদের দায়ের করা দুই মামলার দুই বাদী ঝুমা আক্তার (২৫) ও হনুফা বেগম (৪০) এখন শ্রীঘরে। তারা সম্পর্কে খালা ভাগিনী। তবে ঝুমা খুবই উশৃঙ্খল অসামাজিক ও বেপরোয়া জীপন-যাপন করে আসছিল। ঝুমার বিরূদ্ধে রয়েছে পুলিশসহ বিভিন্ন পুরূষকে ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগ। তাদের মামলা দুটি আধা ঘন্টার ব্যবধানে নথিভূক্ত হয়েছে। তারা উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা গ্রামের বাসিন্দা। উভয় পক্ষের অভিযোগ থাকায় গত শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে থানা চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। গ্রেপ্তারের আগে পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পুলিশের সামনে ঝুমার অসামাজিক উশৃঙ্খল বেপরোয়া আচরণে বিব্রতবোধ করেছেন সকলেই। পুলিশ, মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আপন বোনের মেয়ে হলেও অসামাজিক জীবন-যাপনের কারণে ঝুমা থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলত হনুফারা। তাই আঁখিতারা গ্রামের ওই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঝুমার এক বোন হনুফার বাড়িতে যায়। সেখানে যায় ঝুমাও। ঝুমা হাতের ব্যাগ রেখে টয়লেটে যায়। ফিরে এসে চিৎকার করতে থাকে ব্যাগের ভেতরে থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নেই। দায়ী করেন খালা হনুফাকে। এক পর্যায়ে ঝুমা মা বোনসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে খালা হনুফার বাড়িতে হামলা চালায়। হনুফা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে হনুফাদের পিটিয়ে আহত করে লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। মারধর টানা খেচড়া করে পড়নের কাপড় সেলুয়ার কামিজ ছিঁড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তাদের এলোপাতাড়ি মারধরে শরীর আহত হওয়ার পাশাপাশি গোপনাঙ্গও গুরূতর আহত হয়েছে। ঘরের ভেতরের আসবাপপত্র ভেঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এ বিষয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সহোদর বোন ও দুই ভাগ্নিকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হনুফা। থানায় তখনও দুই বাদীই উপস্থিত। ঝুমা বাদী হয়ে একই ধরণের হামলা মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে খালাম্মা হনুফা ও তার মেয়েকে আসামী করে একই দিন বিকাল ১ টা ৪৫ মিনিটে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিকেলে থানা চত্বর থেকে ওই দুই মামলার দুই বাদী ঝুমা ও হনুফাসহ আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাকৃত অপর আসামীরা হলো- ঝুমার মা মোছা. সানুফা বেগম (৫০), বোন লুৎফা বেগম (২১), ও হনুফার মেয়ে বিলকিছ বেগম (২০)। তাদেরকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝুমা খুবই উশৃঙ্খল ও বেপরোয়া। সে কাউকে মানে না। পরোয়া করে না। অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত। মানুষকে সে ব্ল্যাকমেইলও করেছে। জনৈক পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্ল্যাক মেইল করে দুইবারে ৭ লাখ আদায় করেছে এই ঝুমা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

উশৃঙ্খল ও বেপরোয়া সরাইলের ঝুমা আধা ঘন্টায় ২ মামলা, ২ বাদীই শ্রীঘরে

আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

চরম উশৃঙ্খলতা অসামাজিক ব্ল্যকমেইলিং ও বেপরোয়া সরাইলের ঝুমা আক্তার (২৫)। পুলিশের সামনেই বেহায়পনা কথাবার্তা বলতে একটু বুক কাঁপেনি ঝুমার। মিথ্যা অভিয়োগ অপবাদ দিয়েছে তার খালার উপরও। এর জের ধরে পারিবারিক কলহে উভয় পরিবারের সদস্যরা আহত হন। তাদের দায়ের করা দুই মামলার দুই বাদী ঝুমা আক্তার (২৫) ও হনুফা বেগম (৪০) এখন শ্রীঘরে। তারা সম্পর্কে খালা ভাগিনী। তবে ঝুমা খুবই উশৃঙ্খল অসামাজিক ও বেপরোয়া জীপন-যাপন করে আসছিল। ঝুমার বিরূদ্ধে রয়েছে পুলিশসহ বিভিন্ন পুরূষকে ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগ। তাদের মামলা দুটি আধা ঘন্টার ব্যবধানে নথিভূক্ত হয়েছে। তারা উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা গ্রামের বাসিন্দা। উভয় পক্ষের অভিযোগ থাকায় গত শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে থানা চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। গ্রেপ্তারের আগে পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পুলিশের সামনে ঝুমার অসামাজিক উশৃঙ্খল বেপরোয়া আচরণে বিব্রতবোধ করেছেন সকলেই। পুলিশ, মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আপন বোনের মেয়ে হলেও অসামাজিক জীবন-যাপনের কারণে ঝুমা থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলত হনুফারা। তাই আঁখিতারা গ্রামের ওই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঝুমার এক বোন হনুফার বাড়িতে যায়। সেখানে যায় ঝুমাও। ঝুমা হাতের ব্যাগ রেখে টয়লেটে যায়। ফিরে এসে চিৎকার করতে থাকে ব্যাগের ভেতরে থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নেই। দায়ী করেন খালা হনুফাকে। এক পর্যায়ে ঝুমা মা বোনসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে খালা হনুফার বাড়িতে হামলা চালায়। হনুফা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে হনুফাদের পিটিয়ে আহত করে লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। মারধর টানা খেচড়া করে পড়নের কাপড় সেলুয়ার কামিজ ছিঁড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তাদের এলোপাতাড়ি মারধরে শরীর আহত হওয়ার পাশাপাশি গোপনাঙ্গও গুরূতর আহত হয়েছে। ঘরের ভেতরের আসবাপপত্র ভেঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এ বিষয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সহোদর বোন ও দুই ভাগ্নিকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হনুফা। থানায় তখনও দুই বাদীই উপস্থিত। ঝুমা বাদী হয়ে একই ধরণের হামলা মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে খালাম্মা হনুফা ও তার মেয়েকে আসামী করে একই দিন বিকাল ১ টা ৪৫ মিনিটে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিকেলে থানা চত্বর থেকে ওই দুই মামলার দুই বাদী ঝুমা ও হনুফাসহ আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাকৃত অপর আসামীরা হলো- ঝুমার মা মোছা. সানুফা বেগম (৫০), বোন লুৎফা বেগম (২১), ও হনুফার মেয়ে বিলকিছ বেগম (২০)। তাদেরকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝুমা খুবই উশৃঙ্খল ও বেপরোয়া। সে কাউকে মানে না। পরোয়া করে না। অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত। মানুষকে সে ব্ল্যাকমেইলও করেছে। জনৈক পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্ল্যাক মেইল করে দুইবারে ৭ লাখ আদায় করেছে এই ঝুমা।