ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৬ দফা দাবি আদায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি বাঞ্ছারামপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে হামলা বাড়িঘর ভাঙচুর, ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া মিডটাউনের সাধারণ সম্পাদক হলেন সানাউল্লাহ্ বাঞ্ছারামপুরে ‘ত্রাসের রাজত্ব’, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর বিজয়নগরে ৬২ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার সরাইলে ছেত্রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিপিএফর উদ্যোগে ‘বাল্যবিয়ে’ প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

অনুমোদন না নিয়েই চলছে বহুতল ভবন নির্মাণ; আদালতে প্রতিবেশীর মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ২৯৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে ভবন নির্মাণের শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ অমান্য করে চলেছে ভবন নির্মাণের যাবতীয় আইন-কানুন। তবে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রতিবেশী। জানা যায়,গতবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া জুবিলি রোড এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে বিএস খতিয়ান ১২১৭ এবং বিএস দাগ ২১৩২ দাগে ৯ পয়েন্ট ৬ শতাংশ জায়গায় ৮ তলা ভবনের নির্মাণের উদ্যোগ নেয় হিলফুল আবাসন প্রকল্প নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের হয়ে নির্মাণ কাজ করছে বাকী ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট। শুরুতেই ভবন নির্মাণ কোড মেনে কাজ করবার জন্য এলাকাবাসী বারবার অনুরোধ করলেও তারা কানে নেয়নি। কোনো প্রকার আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ভবনের ভিত নির্মাণ করা হলে বিগত বছরের ২৫ অক্টোবর প্রতিবেশী বিএস দাগ ২১৩০ এর মালিক আবুল কালাম আজাদের ছেলে আবু কাউসার আজাদ বিপু সহ এলাকার বেশ কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ভবন নির্মাণ কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চালাতে থাকে। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার সুযোগে তারা প্রথম তলার দেয়াল ব্যতিত কাঠামো নির্মাণ করে ফেলে। পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন আবু কাউসার আজাদ বিপু। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ মো.রেজাউল হকের আদালতে হিলফুল আবাসন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখারও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী আবু কাউসার আজাদ বিপু বলেন,হিলফুল আবাসন প্রকল্প মধ্যপাড়া জুবিলি রোড এলাকায় মধ্যপাড়া জনসম্পৃক্ত প্রধান সড়ক ও মধ্যপাড়া দিঘীর পাড় থেকে ভেতর দিয়ে আসার পৌরসভার সড়কের কোনায় কোনো প্রকার আইন-কানুন না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। আমরা মৌখিক বাঁধা,পৌরসভায় অভিযোগ করবার পরও তারা আমলে নিচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থা হয়েছি। আদালত কাজ বন্ধ সহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আমি আদালতে গিয়েছি এ কারণে যে শহরের কোথাও ভবন নির্মাণের আইন মানছেন না। অন্তত আমার মামলার মাধ্যমে এ বিষয়টি গুরুত্বের জায়গায় উঠে আসুক। এ মামরার আইনজীবি এড.শফিউল আলম লিটন বলেন,আদালত মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমলে নিয়েছেন। ভবন নির্মাণের জন্য কাজ বন্ধের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। বাকী ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্টের স্বত্তাধিকারী প্রকৌশলী আবদুল বাকী জানান,আমরা মামলার কোনো কপি পাইনি। আমার কাছে কেউ কোনো নোটিশও পাঠায়নি। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম যে আমরা আইন না মেনে কাজ করছি। হিলফুল আবাসন প্রকল্পের তত্বাবধায়ক শামসুল ইসলাম জানান,আমি এ ভবন নির্মাণের দেখাশুনা করি। আমরা পৌরসভার অনুমোদন নিয়েই কাজ করছি। আমরা ভবন নির্মাণ আইন মানছি কি মানছিনা তা পৌরসভাই বলতে পারবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবদুল কুদ্দুস জানান,ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এরকম একটা অভিযোগ আমার হাতে এসেছে। খবর নিয়ে দেখেছি এ ভবনের ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার কোনো অনুমোদনই পায়নি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমরা কাজ বন্ধের নোটিশ পাঠিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অনুমোদন না নিয়েই চলছে বহুতল ভবন নির্মাণ; আদালতে প্রতিবেশীর মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে ভবন নির্মাণের শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ অমান্য করে চলেছে ভবন নির্মাণের যাবতীয় আইন-কানুন। তবে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রতিবেশী। জানা যায়,গতবছর অক্টোবর মাসের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া জুবিলি রোড এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে বিএস খতিয়ান ১২১৭ এবং বিএস দাগ ২১৩২ দাগে ৯ পয়েন্ট ৬ শতাংশ জায়গায় ৮ তলা ভবনের নির্মাণের উদ্যোগ নেয় হিলফুল আবাসন প্রকল্প নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের হয়ে নির্মাণ কাজ করছে বাকী ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট। শুরুতেই ভবন নির্মাণ কোড মেনে কাজ করবার জন্য এলাকাবাসী বারবার অনুরোধ করলেও তারা কানে নেয়নি। কোনো প্রকার আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ভবনের ভিত নির্মাণ করা হলে বিগত বছরের ২৫ অক্টোবর প্রতিবেশী বিএস দাগ ২১৩০ এর মালিক আবুল কালাম আজাদের ছেলে আবু কাউসার আজাদ বিপু সহ এলাকার বেশ কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ভবন নির্মাণ কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ চালাতে থাকে। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার সুযোগে তারা প্রথম তলার দেয়াল ব্যতিত কাঠামো নির্মাণ করে ফেলে। পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোনো কাজ না হওয়ায় অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন আবু কাউসার আজাদ বিপু। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ মো.রেজাউল হকের আদালতে হিলফুল আবাসন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখারও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী আবু কাউসার আজাদ বিপু বলেন,হিলফুল আবাসন প্রকল্প মধ্যপাড়া জুবিলি রোড এলাকায় মধ্যপাড়া জনসম্পৃক্ত প্রধান সড়ক ও মধ্যপাড়া দিঘীর পাড় থেকে ভেতর দিয়ে আসার পৌরসভার সড়কের কোনায় কোনো প্রকার আইন-কানুন না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। আমরা মৌখিক বাঁধা,পৌরসভায় অভিযোগ করবার পরও তারা আমলে নিচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থা হয়েছি। আদালত কাজ বন্ধ সহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আমি আদালতে গিয়েছি এ কারণে যে শহরের কোথাও ভবন নির্মাণের আইন মানছেন না। অন্তত আমার মামলার মাধ্যমে এ বিষয়টি গুরুত্বের জায়গায় উঠে আসুক। এ মামরার আইনজীবি এড.শফিউল আলম লিটন বলেন,আদালত মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমলে নিয়েছেন। ভবন নির্মাণের জন্য কাজ বন্ধের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। বাকী ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্টের স্বত্তাধিকারী প্রকৌশলী আবদুল বাকী জানান,আমরা মামলার কোনো কপি পাইনি। আমার কাছে কেউ কোনো নোটিশও পাঠায়নি। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম যে আমরা আইন না মেনে কাজ করছি। হিলফুল আবাসন প্রকল্পের তত্বাবধায়ক শামসুল ইসলাম জানান,আমি এ ভবন নির্মাণের দেখাশুনা করি। আমরা পৌরসভার অনুমোদন নিয়েই কাজ করছি। আমরা ভবন নির্মাণ আইন মানছি কি মানছিনা তা পৌরসভাই বলতে পারবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবদুল কুদ্দুস জানান,ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এরকম একটা অভিযোগ আমার হাতে এসেছে। খবর নিয়ে দেখেছি এ ভবনের ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার কোনো অনুমোদনই পায়নি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমরা কাজ বন্ধের নোটিশ পাঠিয়েছি।