Dhaka 6:34 am, Tuesday, 7 May 2024
News Title :
সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:32:07 pm, Monday, 5 December 2022
  • 133 Time View

green view diagnostic center 1

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরের গ্রীন ভিউ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাদিজা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেয়াই গ্রামের প্রবাস ফেরত নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে খাদিজার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতলে এনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিনিয়া খানের তত্বাবধায়নে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে অক্সিজেন লাগানোর পর জানানো হয় গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করবে। কিন্তু সারা রাতেও গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করেনি। এমনকি রবিবার সকাল ১১ টায় চিকিৎসক এসে খাদিজকে দেখেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে চিকিৎসক এসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে বলে জানায়। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত সন্তানটিকে সাধারণ প্রসব করানোর কথা জানান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত সন্তান নরমালে প্রসব করালে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন কোন সমস্যা হবে না। পরে ডাক্তার জিনিয়া খান ও আবু হামেদ বাবু খাদিজার মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসককে বার বার সিজার করানোর কথা বলা হলেও তারা তা শুনেননি। এরপর থেকেই খাদিজার শরীরে খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সে মারা যায়। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মোঃ আবু হামেদ বাবু জানান, রোগীর বয়স অধিক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার খিচুনি ও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। আমরা রোগীটিকে বাঁচানোর জন্য সবধরণের চেষ্টা করেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরাইলের হেমেন্দ্র এখন মো. হিমেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

Update Time : 01:32:07 pm, Monday, 5 December 2022

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরের গ্রীন ভিউ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাদিজা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেয়াই গ্রামের প্রবাস ফেরত নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে খাদিজার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতলে এনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিনিয়া খানের তত্বাবধায়নে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে অক্সিজেন লাগানোর পর জানানো হয় গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করবে। কিন্তু সারা রাতেও গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করেনি। এমনকি রবিবার সকাল ১১ টায় চিকিৎসক এসে খাদিজকে দেখেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে চিকিৎসক এসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে বলে জানায়। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত সন্তানটিকে সাধারণ প্রসব করানোর কথা জানান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত সন্তান নরমালে প্রসব করালে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন কোন সমস্যা হবে না। পরে ডাক্তার জিনিয়া খান ও আবু হামেদ বাবু খাদিজার মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসককে বার বার সিজার করানোর কথা বলা হলেও তারা তা শুনেননি। এরপর থেকেই খাদিজার শরীরে খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সে মারা যায়। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মোঃ আবু হামেদ বাবু জানান, রোগীর বয়স অধিক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার খিচুনি ও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। আমরা রোগীটিকে বাঁচানোর জন্য সবধরণের চেষ্টা করেছি।