ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ ইসলাম, অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইউপিজি’র অগ্রণী ভূমিকা ২০২৫-এ গোল্ড প্রেসিডেন্ট’ সম্মাননা পেলেন রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার কামাল উদ্দীন কারাগারে টাকা ছাড়া মেলেনা বন্দিদের সাক্ষাত পেশাগত অধিকার আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির বিজয়নগরে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ তানভীর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার শ্যামলকে ফুলেল শুভেচ্ছা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯১ বার পড়া হয়েছে

green view diagnostic center 1

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরের গ্রীন ভিউ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাদিজা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেয়াই গ্রামের প্রবাস ফেরত নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে খাদিজার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতলে এনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিনিয়া খানের তত্বাবধায়নে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে অক্সিজেন লাগানোর পর জানানো হয় গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করবে। কিন্তু সারা রাতেও গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করেনি। এমনকি রবিবার সকাল ১১ টায় চিকিৎসক এসে খাদিজকে দেখেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে চিকিৎসক এসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে বলে জানায়। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত সন্তানটিকে সাধারণ প্রসব করানোর কথা জানান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত সন্তান নরমালে প্রসব করালে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন কোন সমস্যা হবে না। পরে ডাক্তার জিনিয়া খান ও আবু হামেদ বাবু খাদিজার মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসককে বার বার সিজার করানোর কথা বলা হলেও তারা তা শুনেননি। এরপর থেকেই খাদিজার শরীরে খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সে মারা যায়। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মোঃ আবু হামেদ বাবু জানান, রোগীর বয়স অধিক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার খিচুনি ও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। আমরা রোগীটিকে বাঁচানোর জন্য সবধরণের চেষ্টা করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৩২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় শহরের গ্রীন ভিউ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খাদিজা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেয়াই গ্রামের প্রবাস ফেরত নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে খাদিজার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতলে এনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিনিয়া খানের তত্বাবধায়নে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে অক্সিজেন লাগানোর পর জানানো হয় গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করবে। কিন্তু সারা রাতেও গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া করেনি। এমনকি রবিবার সকাল ১১ টায় চিকিৎসক এসে খাদিজকে দেখেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে চিকিৎসক এসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে বলে জানায়। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত সন্তানটিকে সাধারণ প্রসব করানোর কথা জানান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত সন্তান নরমালে প্রসব করালে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন কোন সমস্যা হবে না। পরে ডাক্তার জিনিয়া খান ও আবু হামেদ বাবু খাদিজার মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসককে বার বার সিজার করানোর কথা বলা হলেও তারা তা শুনেননি। এরপর থেকেই খাদিজার শরীরে খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই সে মারা যায়। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মোঃ আবু হামেদ বাবু জানান, রোগীর বয়স অধিক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার খিচুনি ও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। আমরা রোগীটিকে বাঁচানোর জন্য সবধরণের চেষ্টা করেছি।