Dhaka 7:02 pm, Friday, 3 May 2024
News Title :
মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম পাক্ষিক মত ও পথ এর সম্পাদক হওয়ায় প্রফেসর ফাহিমা খাতুন কে অভিনন্দন নবীনগরে সওজের জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ দোকান: চলছে কোটি টাকার দখল বাণিজ্য। ফেইক আইডি’র মাধ্যমে প্রার্থীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র শঙ্কায় থানায় অভিযোগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন সরাইল বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম পাইকপাড়ায় ইমারত আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরা্‌ইলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান, সাংবাদিকে আসামী করে মামলা সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন

সরাইলে নদীর পাড় ও কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:57:05 pm, Friday, 18 February 2022
  • 233 Time View

সরাইলে নদী শাসন আইন অমান্য করে বেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে নদীর পাড়। কেটে গভীর করা হচ্ছে ফসলি জমি। ওই মাটি গুলি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। ব্যবসা চাঙ্গা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর। আর দিনে রাতে ট্রাক্টর বোঝাই করে টানছে মাটি। উড়ছে ধূঁলো। নষ্ট হচ্ছে ইরি জমি। অনেক ইটভাটায় বেকু রেখে আশপাশের ফসলি জমি থেকে কেটে আনছেন মাটি। সরাইল-নাসিরনগর-আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে আকাশী হাওরের নোয়াগাঁও ও কালীকচ্ছ মৌজা এলাকায় এমন অনিয়ম চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব। সরজমিনে দেখা যায়, ওই মহাসড়কের সরাইল এলাকায় ফসলি জমির মাঝখানে ও বসতবাড়ি ঘেষা স্থানে গড়ে ওঠেছে ১৩ টি ইটভাটা। স্থানীয় একধিক কৃষক বলেন, আইনও বুঝি না। আমরা তো জানি ফসলি জমির মাঝখানে ও বসতবাড়ির কাছে ইটভাটা চালানোর কোন বিধান নেই। তারপরও পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে ছাড়পত্র দেয়। আসলে সর্বত্রই আইন গিলে খাচ্ছে রসদে। সেখানে মাটি কাটার কাজে ব্যবহার হচ্ছে ৭টি বেকু। ইট তৈরীর জন্য ভাটার মালিকরা মাটি ক্রয় করে থাকেন। এই ব্যবসার সুযোগ নিয়েছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। কেউ বেকু দিয়ে কাটছেন ফসলি জমির মাটি। অনেকেই পুটিয়া নদীর পাড় নিজেদের দাবী করে মাটি কেটে বিক্রয় করছেন। নদী শাসন আইনে বর্ষাকালে নদীর পানি থেকে ৫০ ফুট দূরবর্তী স্থান পর্যন্ত সীমানা ধরা হয়। অথচ নোয়াগাঁও মৌজায় পুটিয়া নদীর পানি ঘেষা পাড় বেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে। মাটি যাচ্ছে সেখানকারই আজম ব্রীকস্‌ নামের একটি ইটভাটায়। বিক্রয়কারীরা নদীর পাড়কে কাগজে কলমে নিজেদের দাবী করে বলছেন, আমরা এ জায়গার বৈধ মালিক। উঁচু জায়গায় ফসল হচ্ছে না। তাই মাটি কেটে নীচু করছি। মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছি। ওই হাওরে ব্যক্তি মালিকানা ফসলি জমি ও সরকারি কিছু গোচারণ ভূমির মাটিও এক শ্রেণির লোকের সহায়তায় বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। সড়কের ভূঁইয়ার ঘাট সংলগ্ন ব্রীজের পশ্চিম পাশে সরাইলের সীমানার দুটি খালও দখলে নিয়ে গেছেন ইটভাটার মালিকরা। তারা দুটি খালই ইটভাটার মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছেন। ফলে পানি নিস্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, নদী আইনে বর্ষাকালে নদীর পানি যেখানে থাকে সেখান থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত নদীর। ফসলি জমির মাটি কাটা ও বিক্রি করার কোন বিধান নেই। এরপরও নিজ জমির মাটি যদি গোপনে বিক্রি করে ফেলে কি করার আছে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

মা-বাবার নিয়মিত ঝগড়া বিরক্ত হয়ে থানায় শিশু সন্তান সিয়াম

সরাইলে নদীর পাড় ও কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

Update Time : 09:57:05 pm, Friday, 18 February 2022

সরাইলে নদী শাসন আইন অমান্য করে বেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে নদীর পাড়। কেটে গভীর করা হচ্ছে ফসলি জমি। ওই মাটি গুলি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। ব্যবসা চাঙ্গা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর। আর দিনে রাতে ট্রাক্টর বোঝাই করে টানছে মাটি। উড়ছে ধূঁলো। নষ্ট হচ্ছে ইরি জমি। অনেক ইটভাটায় বেকু রেখে আশপাশের ফসলি জমি থেকে কেটে আনছেন মাটি। সরাইল-নাসিরনগর-আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে আকাশী হাওরের নোয়াগাঁও ও কালীকচ্ছ মৌজা এলাকায় এমন অনিয়ম চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব। সরজমিনে দেখা যায়, ওই মহাসড়কের সরাইল এলাকায় ফসলি জমির মাঝখানে ও বসতবাড়ি ঘেষা স্থানে গড়ে ওঠেছে ১৩ টি ইটভাটা। স্থানীয় একধিক কৃষক বলেন, আইনও বুঝি না। আমরা তো জানি ফসলি জমির মাঝখানে ও বসতবাড়ির কাছে ইটভাটা চালানোর কোন বিধান নেই। তারপরও পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে ছাড়পত্র দেয়। আসলে সর্বত্রই আইন গিলে খাচ্ছে রসদে। সেখানে মাটি কাটার কাজে ব্যবহার হচ্ছে ৭টি বেকু। ইট তৈরীর জন্য ভাটার মালিকরা মাটি ক্রয় করে থাকেন। এই ব্যবসার সুযোগ নিয়েছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। কেউ বেকু দিয়ে কাটছেন ফসলি জমির মাটি। অনেকেই পুটিয়া নদীর পাড় নিজেদের দাবী করে মাটি কেটে বিক্রয় করছেন। নদী শাসন আইনে বর্ষাকালে নদীর পানি থেকে ৫০ ফুট দূরবর্তী স্থান পর্যন্ত সীমানা ধরা হয়। অথচ নোয়াগাঁও মৌজায় পুটিয়া নদীর পানি ঘেষা পাড় বেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে। মাটি যাচ্ছে সেখানকারই আজম ব্রীকস্‌ নামের একটি ইটভাটায়। বিক্রয়কারীরা নদীর পাড়কে কাগজে কলমে নিজেদের দাবী করে বলছেন, আমরা এ জায়গার বৈধ মালিক। উঁচু জায়গায় ফসল হচ্ছে না। তাই মাটি কেটে নীচু করছি। মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছি। ওই হাওরে ব্যক্তি মালিকানা ফসলি জমি ও সরকারি কিছু গোচারণ ভূমির মাটিও এক শ্রেণির লোকের সহায়তায় বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। সড়কের ভূঁইয়ার ঘাট সংলগ্ন ব্রীজের পশ্চিম পাশে সরাইলের সীমানার দুটি খালও দখলে নিয়ে গেছেন ইটভাটার মালিকরা। তারা দুটি খালই ইটভাটার মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছেন। ফলে পানি নিস্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, নদী আইনে বর্ষাকালে নদীর পানি যেখানে থাকে সেখান থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত নদীর। ফসলি জমির মাটি কাটা ও বিক্রি করার কোন বিধান নেই। এরপরও নিজ জমির মাটি যদি গোপনে বিক্রি করে ফেলে কি করার আছে।

মাহবুব খান বাবুল